প্রবীণ সাংবাদিক হাসানুজ্জামান খান চিরনিদ্রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৯ মে, ২০১৫ ২০:৫১:৪১

ঢাকা: সাংবাদিক সহকর্মীসহ বিশিষ্টজনের ফুলেল শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক হাসানুজ্জামান খানকে আজ মঙ্গলবার চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাদ জোহর নামাজে জানাযা শেষে তাকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হয়।
তিনি গতকাল সোমবার বিকালে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাসানুজ্জামান খানের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। মরহুমের মরদেহ গতকালই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য মরহুমের লাশ মঙ্গলবার দপুর ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনা হয়। বাদ জোহর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার পর মরহুমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাব নেতারা তার কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় মরহুমের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনের স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনাক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ এবং মরহুমের সহকর্মী বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আমানুল্লাহ।
নামাজে জানাজায় শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান, প্রবীণ সাংবাদিক কামাল লোহানী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দিদার বখত, সাবেক উপমন্ত্রী ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধানসহ মরহুমের দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা শরিক হন।
বরেণ্য সাংবাদিক হাসানুজ্জামান খান ১৯২৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেরানীগঞ্জে কলাতিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁর পিতৃভিটা মানিকগঞ্জ জেলার মূলজান গ্রামে। ১৯৪৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদ পত্রিকায় তিনি সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি স্বাধীনতা, পাকিস্তান অবজার্ভার, বাসস, বঙ্গবার্তা, নিউ নেশন, বাংলাদেশ টুডে, ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় কাজ করেন। তার প্রায় ৬০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের বেশিরভাগ সময় তিনি কাজ করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস)। তিনি বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম সদস্য ছাড়াও তিনি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত হন।
(ঢাকাটাইমস/১৯মে/জেবি)