বাংলাভিশনের নতুন এমডি আনোয়ারুজ্জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৭ মে, ২০১৫ ২০:১৮:৪০

ঢাকা: স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আনোয়ারুজ্জামান বাংলাভিশনের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই অন্যতম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আনোয়ারুজ্জামান ১৯৫৪ সালে পুরনো ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলায়। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকার সময় ১৯৭৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে যান। সেখান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি সরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে এক্সপার্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯১ সালে দুবাইয়ে নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশের ছকবাধা ব্যস্তময় জীবনেও ভুলে থাকতে পারেননি দেশ, মাটি ও মানুষের কথা। দেশের প্রতি অগাধ ভালবাসা আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে তিনি চেষ্টা করেছেন দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে। যার ফলশ্রুতিতে তিনি প্রবাস জীবনের আরাম আয়েশ ছেড়ে দেশ মাতৃকার টানে স্বপরিবারে দেশে ফিরে আসেন এবং শুরু করেন ক্ষুদ্র পরিসরে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। কর্মসংস্থান পরিধি বৃহদাকার করার ক্ষেত্রে তার পরিকল্পনা ছিল এ দেশের ব্যবসায়ীকদের জন্য অনুকরণীয়। বিদেশি অর্থ উপার্জনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদান করায় ২০০৮ সাল থেকে অদ্যবধি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় তাকে সিআইপি মর্যাদা দিয়ে আসছে।
এছাড়াও রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২০১০ ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তিনি সিআইপি মর্যাদা পেয়েছেন।
১৯৯৯ সালের গোড়ার দিকে এদেশের নিট শিল্পের ভবিষ্যতের সফলতা বিদেশিদের অবহিত করে এদেশে তাদের বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন। যার ফলশ্রুতিতে ২০০১ সালে এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড যৌথ ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু হয় তার হাত ধরে, পরবর্তীতে যা এসএম গ্রুপ নামে আত্মপ্রকাশ করে। এসএম গ্রুপ তৈরি পোষাক ও নিটওয়ারস পণ্যের অন্যতম রপ্তানিকারক। বর্তমানে এসএম. গ্রুপে প্রায় ৯০০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন। আনোয়ারুজ্জামান দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। তার সহধর্মিনী আনোয়ারা বেগম বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত।
সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান শিল্প স্থাপনের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা বৃত্তি, কন্যা দায়গ্রস্থ পিতাদের সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি যে কোনো রাষ্ট্রীয় দুর্যোগে তার সেবার হাত সব সময় প্রসারিত হয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭মে/এমএম)