logo ০১ মে ২০২৫
প্রেস ক্লাব: তবে তো দাগই ভালো
১১ জুন, ২০১৫ ০০:১০:১৭
image

প্রভাষ আমিন


যখন দরকার ছিল তখন প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ পাইনি। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে দিনের পর দিন পার করেছি রেলিং সাংবাদিকতা করে। এখনকার মাঠের রিপোর্টারদের তবু রিপোর্টার্স ইউনিটি আছে। অন্তত দুপুরের খাওয়া এবং প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া নিয়ে চিন্তা নেই। তখন রিপোর্টার্স ইউনিটিও ছিল না। প্রকৃতির জরুরি ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্যও আমাদের মতো অ-সভ্যদের প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢোকার অনুমতি ছিল না। এমনও হয়েছে, বাইরে কোথাও একসঙ্গে অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করে প্রেস ক্লাবে ফিরে সভ্যরা চলে যেতেন প্রেস ক্লাবের সুশীতল আশ্রয়ে, আর আমরা অ-সভ্যদের দরজা আটকে দাঁড়াতেন আমাদের সঙ্গেই অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করে আসা কেউ। কালের পরিক্রমায় আমিও সভ্য হয়েছি। তবে যখন হয়েছি তখন আর প্রেস ক্লাবে যাওয়ার সময় নেই, প্রয়োজনও নেই। তবে আমি বছরে অন্তত একবার প্রেস ক্লাবে যাইই নির্বাচনের দিন ভোট দিতে। আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে গণতন্ত্রই সবচেয়ে ভালো। তবে কেউ যেন ভাববেন না, আমি গণতন্ত্রের পূজারি বলেই প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে ভোট দিতে যাই। আমি যাই রথ দেখতে, সঙ্গে কলা বেচতে। তবে কখনো কখনো কলা বেচাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। মানে ভোট দেওয়া নয়, আমার আসল লোভ একদিনে সবার সঙ্গে দেখা হয়ে যাওয়া। রিপোর্টিং ছাড়ার পর মাঠে অত যাওয়া হয় না বলে অনেকের সঙ্গেই নিয়মিত দেখাই হতো না, তাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের উসিলায় সুযোগটা নিতাম। তবে এবার সেই সুযোগটাও পেলাম না।


গত ২৮ মে দুপুরে হুট করে খবর পেলাম প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি হয়েছে। কিন্তু ভোট ছাড়া কমিটি হলো কিভাবে? আরো মজার কাহিনি হলো যে কমিটি হয়েছে তাতে দুইপন্থি লোকই আছেন। তার মানে সমঝোতা হয়েছে। খুব আনন্দের খবর। রাজনীতিতে সমঝোতার দাবি আমরা জানিয়ে আসছি দীর্ঘদিন ধরে। নিশ্চয়ই প্রেস ক্লাবের সমঝোতার পথ ধরে সমঝোতা হবে জাতীয় রাজনীতিতেও। যার যার আদর্শিক জায়গায় অনড় থেকেও সমঝোতা হতেই পারে। কিন্তু যে সমঝোতা সদস্যদের ভোটাধিকার হরণ করে, সে সমঝোতা যে শর্তেই হোক আমার ভালো লাগেনি।


বলতে লজ্জা নেই, আর সব পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকরাও প্রবল রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত। আর আমি সদস্য হওয়ার পর থেকে প্রেস ক্লাব একটি নির্দিষ্ট বলয়ের কবজায়। আমি প্রতি বছর গিয়ে যাদের ভোট দেই তারা জেতেন না। আমিও অনেকদিন ধরেই চাইছিলাম, প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসুক। কিন্তু যেভাবে পরিবর্তন এলো তা চাইনি।


এবার সমঝোতার কমিটিতে যারা ঠাঁই পেয়েছেন, তারা সবাই আমার প্রিয়। নির্বাচন হলে, আমি এদের সবাইকে না হলেও অনেককে ভোট দিতাম। ধরে নিচ্ছি সবাইকেই ভোট দিতাম। কিন্তু ভোট দিতাম এক কথা, আর ভোট দেওয়ার সুযোগই কেড়ে নেওয়া হলো, সেটা আরেক কথা।


অনেকদিন ধরেই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন নিয়ে নানা কিছু হচ্ছিল। অত কিছুর বিস্তারিত আমি জানি না। আমি খালি খোঁজ রাখছিলাম, নির্বাচন কবে। গিয়ে ভোট দিয়ে আসব। মাঝে একবার শুনলাম গোলাম সারওয়ারকে সভাপতি আর রুহুল আমিন গাজীকে সাধারণ সম্পাদক করে সমঝোতার প্যানেল হয়েছে। সে সমঝোতা নিয়েও নানাজনের আপত্তি ছিল। কিন্তু যারা সমঝোতা করেছিলেন, তারাই নাকি আবার মূল রাজনৈতিক দলের আপত্তির কারণে তা ভেঙেও দিয়েছিলেন। সমঝোতা ভেঙে অনেকে প্রার্থী হয়ে যাওয়ায় এবং নির্বাচন কমিশন পদত্যাগ করায় সে সমঝোতাও আলোর মুখ দেখেনি। তবে এবার সমঝোতাকারীরা আর নির্বাচনের অপেক্ষা করেনি, সরাসরি কমিটি ঘোষণা করেছেন। সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশে এমন গণতন্ত্রহীনতা দুঃখজনক।


নির্বাচন ছাড়াই প্রেস ক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখার পর বন্ধুদের অনেকেই নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কারো কারো কণ্ঠে যেকোনো শর্তে সমঝোতার কমিটি গঠনের মাধ্যমে যেকোনো মূল্যে প্রেস ক্লাব দখলের পক্ষে নানা যুক্তিও ছিল। তারা বলছেন, প্রেস ক্লাব তো দখল করা হয়নি, দখলমুক্ত করা হয়েছে। এতদিন প্রেস ক্লাব আসলে জামায়াতিদের দখলে ছিল, হয়ে উঠেছিল বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যালয়। আর এই দখলটা এমন কৌশলে করা হয়েছে, যাতে সাধারণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাদের হটানো কঠিন। তাই গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্যও মাঝে মধ্যে অগণতান্ত্রিক হতে হয়। একজন তো হেলাল হাফিজের কবিতার লাইন শুনিয়ে দিলেন ‘কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয়।’


অনেকে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ক্লাব উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য পদ দেওয়ার দাবির আন্দোলনের অনেক পুরনো সৈনিক আমি। ১৯৯২-৯৩ সালে এই দাবিতে একাধিকবার প্রেস ক্লাব ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। আমাদের ঠেকাতে প্রেস ক্লাবের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হতো। প্রেস ক্লাবের বড় গেট টপকাচ্ছি, এমন ছবি তখন ইত্তেফাকে ছাপা হয়েছে। আগেই লিখেছি, যখন দরকার ছিল, তখন ভেতরে ঢুকতে পারতাম না। আর এখন যাওয়ার অনুমতি আছে, সময় নেই। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা স্মরণ করে দাবি জানাচ্ছি, যারা সক্রিয় পেশাদার সাংবাদিক, তাদের যেন অবশ্যই সদস্যপদ দেওয়া হয়। কোনো সাংবাদিককে যেন প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজতে না হয়, রোদে পুড়তে না হয়।


বছর দশেক ধরে সদস্য হলেও প্রেস ক্লাবের স্টাফরা আমাকে চেনে না। প্রতিবার ঢুকতে গেলে পরিচয় দিয়ে যেতে হয়। একবার সকালে শাহ আলমগীর ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকার বাইরে যাব বলে চা খাচ্ছিলাম। একজন এসে আলমগীর ভাইয়ের কানে কানে জানতে চাইছিল, আমি কে? প্রতিবারই যাই, আর বিব্রত হই। এটা অবশ্য আমারই দোষ। বছরে ছয় মাসে একবার গেলে আমাকে চিনবেন কিভাবে। কিন্তু শুধু যে সময় নেই বলেই যাই না, তা নয়, একধরনের অনীহাও ছিল। সদস্য হওয়ার পর থেকেই দেখে এসেছি, প্রেস ক্লাব বিএনপির আবরণে জামায়াতের দখলে। কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান যে প্রেস ক্লাবের সদস্য ছিল, কিন্তু দেশের সেরা কবি ও সাংবাদিক শামসুর রাহমান যে ক্লাবের সদস্য হতে পারেননি; সে ক্লাবে যেতে এক ধরনের গ্লানি হতো।


৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে প্রায় শাখা কার্যালয়ে পরিণত হওয়া প্রেস ক্লাবে যেতে পেশাদার সাংবাদিকদের ভালো লাগবে কেন। আমি বরাবরই চেয়েছি, প্রেস ক্লাব হবে পেশাদারদের জন্য উন্মুক্ত, নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু প্রেস ক্লাবের সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও ভোটিং সিস্টেমটাই এমন হয়ে গিয়েছিল, তাতে একে জামায়াতের কবল থেকে বের করে আনা প্রায় অসম্ভব ছিল। কারণ ক্ষমতায় থাকার সুযোগে একবার বিএনপি ফোরাম ঢালাও সদস্যপদ দিয়েছিল। তখন সংগ্রাম, দিনকাল আর ইনকিলাবের সবাই সদস্য বনে যান। সদস্য হয়ে যান অনেক অসাংবাদিকও। তারপর গত কয়েকবছর অলিখিত সমঝোতা ছিল, নতুন সদস্য নেওয়া হতো দুই ফোরাম থেকে সমানে সমান। তাতে নতুন কিছু সদস্য হয়, ভোট বাড়ে; কিন্তু জামায়াত-বিএনপি ফোরামের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ফোরামের ব্যবধান ঘোচে না। তাই দরকার ছিল, জামায়াতের বিরুদ্ধে সবার ঐক্য। এই ঐক্যেই হতে পারত প্রেস ক্লাবের নবযাত্রা।


নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক ইউনিয়নের যে শক্তি আমরা দেখেছি, তাতে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আজ এতদিন পর আবার দুইপক্ষের মুরব্বিদের একমঞ্চে দেখে আনন্দে আমার লাফানোর কথা। শফিক ভাই প্রেসক্লাবের সভাপতি হলে সবচেয়ে বেশি খুশি হওয়ার কথা আমার। শফিক ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা একসঙ্গে মাঠে রিপোর্টিং করেছি। কিন্তু এতকিছুর পরও অস্বস্তির একটা কাটা খচখচ করছেই। আপনারা যা চান, আমার চাওয়াও তাই। কিন্তু এভাবে নয়। আগের কমিটির অনুপস্থিতিতে এজিএম, নির্বাচন ছাড়া কমিটি; গণতান্ত্রিক ধারণার সঙ্গে যায় না। আমি বিশ্বাস করি, কোনো মূল্যে জেতা আসলে কোনো বিজয় নয়।


যেভাবে কমিটি গঠিত হয়েছে, তা যেমন পছন্দ হয়নি; তেমনি যেভাবে এই কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে, তাও পছন্দ হয়নি। সারা জীবন দেখে এসেছি, আগের কমিটি নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। কিন্তু প্রেস ক্লাবে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। নতুন কমিটি রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে ক্লাবের দখল নিয়েছে। এখন এক কমিটি আরেক কমিটিকে অবৈধ বলে পত্রিকায় বিবৃতি দিচ্ছে। পাল্টাপাল্টি সভা করছে। তবে দায়িত্ব নিয়েই শফিকুর রহমান-কামরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন নতুন কমিটি কিছু জরুরি কাজে হাত দিয়েছে। প্রথম কাজ হলো কুক্ষিগত করে রাখা প্রেস ক্লাবকে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। এতদিন প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্রে ছিল ক্লাবের সর্বোচ্চ সদস্য হবে এক হাজার। নতুন কমিটি ইতিমধ্যেই এ সংখ্যা আরো ৫০০ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং যোগ্য পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদ দিতে একটি শক্তিশালী বাছাই কমিটি গঠন করেছে। আশা করা যায়, এর মাধ্যমে প্রেস ক্লাবের দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভাঙবে। যারা সত্যিকারের পেশাদার সাংবাদিক, পেশাগত কাজে যাদের প্রতিদিন প্রেস ক্লাব এলাকায় যেতে হয়, আশা করা যায় এবার তারা সদস্যপদ পাবেন। আমাদের মতো কাউকে আর ঝড়-বৃষ্টিতে রেলিং সাংবাদিকতা করতে হবে না।


আরেকটা বড় কাজ ক্লাবে আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। আগের কমিটির অর্থনৈতিক কর্মকা- খতিয়ে দেখতেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের। আর্থিক দুর্নীতির যেসব কথা শুনছি, তার অর্ধেক সত্য হলেও লজ্জায় মুখ দেখানোর জো থাকবে না। প্রেস ক্লাবে সপ্তাহে দুদিন, মাসে আটদিন হাউজি খেলা হয়। আগে নাকি দিনের পর দিন হাউজিতে লস হতো। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে দুদিনে নাকি ৫ লাখ টাকা লাভ হয়েছে। তার মানে এই খাতে মাসে ২০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব, যা বছরের পর বছর লস দেখানো হয়েছে।


প্রেস ক্লাবের আয়ের আরেকটি বড় উৎস হলো বিভিন্ন হল ভাড়া। কিন্তু আগের কমিটি নাকি রাজনৈতিক কারণে অনেককে বিনা ভাড়া বা বাকিতে হল ভাড়া দিয়েছেন। আগের কমিটির নাকি প্রেস ক্লাবের ক্যান্টিনে খালি ডালপুরি দিয়ে আপ্যায়ন বাবদ ৩ লাখ টাকা বাকি রেখেছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, ক্যান্টিনের বাজারের একটা অংশ যেত কমিটির কারো কারো বাসায়। হরিলুটের এমন নানা কাহিনি এখন বাজারে চাউড়। এসব করতে করতে প্রেস ক্লাব নাকি দেনার দায়ে ডুবতে বসেছে। নতুন কমিটি চেষ্টা করছেন ভাসিয়ে তোলার। সত্য-মিথ্যা জানি না। তদন্ত হচ্ছে, নিশ্চয়ই শ্বেতপত্র প্রকাশিত হবে। তবে ইতিমধ্যে ক্লাবের খাবারের দাম কমানো হয়েছে। নতুন কমিটির একজন হাসতে হাসতে বললেন, দুর্নীতি না করলে তো ক্লাবে বিনা পয়সায় খাওয়ানো সম্ভব।


আগেই বলেছি নতুন কমিটি যেভাবে গঠিত হয়েছে, যেভাবে দায়িত্ব নিয়েছে, তা মোটেই আমার পছন্দ হয়নি। প্রেস ক্লাবের দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যে রীতি মতো একটা দাগ হয়ে রইবে এই কমিটি গঠন ও দায়িত্ব গ্রহণ প্রক্রিয়া। তবে এই কমিটি যদি প্রেস ক্লাবকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের অফিস হওয়া থেকে রক্ষা করে সত্যিকারের পেশাদার সাংবাদিকদের ক্লাবে পরিণত করতে পারে, যদি দুর্নীতিমুক্ত করে প্রেস ক্লাবের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে, যদি পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যপদ পাওয়ার দ্বার উন্মুক্ত হয়; আমার আপত্তি  নেই। দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তবে তো দাগই ভালো।


পুনশ্চ: আরেকটা খুব মজার ঘটনা ঘটেছে। এতদিন আমরা প্রেস ক্লাব বা ইউনিয়নের পরিচয় দিতাম ব্র্যাকেটে একাংশ লিখে। এখন বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের মধ্যেও বিভক্তি হয়েছে, বিভক্তি হয়েছে আওয়ামী সমর্থকদের মধ্যেও। দুই পক্ষেই সমঝোতার বাইরে একটা অংশ রয়ে গেছে। জানি না, আগামী দিনে সাংবাদিক নেতাদের পরিচয় কিভাবে দিতে হবে। একাংশের সঙ্গে আবার খ-াংশ লিখতে হবে নাকি?


[email protected]