ঢাকা: প্রশ্নপত্র বিনিময় করে বেআইনিভাবে পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মতো লেনদেন করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. কালাম, মো. ফারুক ও মো. হিরা। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে তিনশ মোবাইলের সীম, নয়শ পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও সাড়ে আটশ ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে একটার সময় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই এসব জিনিসপত্র দিয়ে ভুয়া ও অবৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থাকে। এর আগে আটক রায়হান চৌধুরী ওরফে ড্যান ব্রাউন প্রশ্নপত্র বিনিময় করে এসব অবৈধ বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করত। যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুসন্ধানে সঠিক তথ্য না পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, গত ১৫ জুলাই রাতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস, উত্তরপত্র জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে আটক করে নিয়মিত মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে রায়হান চৌধুরি ওরফে ড্যান ব্রাউনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তথ্য প্রযুক্তি আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে ডেমরা থানার দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সীম থেকে আরেক সীমের মাধ্যমে ডেমরা কলেজের খুব কাছ থেকে টাকার লেনদেন করত। তারা বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও স্টুডিও থেকে ছবি সংগ্রহ করে বিকাশের ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলত।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলমের নিদের্শনায়, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. শাহজাহানের তত্বাবধায়নে সাইবার ক্রাইম টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাশরেকুর রহমান খালেদ, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাহবুবুল ইসলাম, পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মুনতাসিরুল ইসলাম।
(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/এএ/এমএন)