প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র জালিয়াত চক্রের হাতে!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৩ আগস্ট, ২০১৫ ১৪:২২:০৭

ঢাকা: ফেসবুক ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস, বিতরণ ও জালিয়াত চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার জানানো হয়, গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ রবিবার যশোর জেলায় অভিযান চালিয়ে সুমন আহম্মেদ, আ. রহমান, আ. রহমান ওরফে লিটন, এসএম তানভীর আলম ওরফে রিজভী, জনি রহমান ও আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও যশোরে অবস্থিত একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। এছাড়া ঢাকার ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরও তিনজনকে।
এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ইন্টারনেট (ওয়েবসাইট ও ফেসবুক) পরিচালনা ও প্রশ্নপত্র আদান-প্রদান কাজে ব্যবহৃত একটি সিম্ফনি ট্যাব, ছয়টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট (যার মেমোরিতে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে) উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত প্রশ্নপত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫ম ও ৭ম পর্ব সমাপনী এবং ৬ষ্ঠ পর্ব পরিপূরক পরীক্ষা-২০১৫ এর প্রোগ্রামিং ইন সি (পরীক্ষার তারিখ-চলতি বছরের ২ আগস্ট) ও এন্টারপ্রিনিউরশিপ (পরীক্ষার তারিখ-১২ আগস্ট ২০১৫) বিষয়সমূহের প্রশ্নপত্র।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা প্রত্যেক পরীক্ষার আগেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ও ফেসবুক-ইনবক্স ও ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বন্ধুদের মধ্যে বিতরণ (শেয়ার) করে।
তারা জানায়, চলমান প্রত্যেকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তারা পেয়েছে।
প্রশ্নপত্র জালিয়াত প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-নাজমুল, হাসান ও কামরুল। তারা সবাই ডেমরার গোলাম মোস্তফা মডেল কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
গত ১৫ জুলাই রাতে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তরপত্র জালিয়াতি প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রায়হান চৌধুরী ওরফে ড্যান ব্রাউনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সূত্র ধরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টার সাথে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/জেবি)