জয়পুরহাট: জেলা শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেল থেকে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা ২১ যুবককে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় লাভলু নামে এক মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়। আটক লাভলু জয়পুরহাট সদরের চক দাদরা গ্রামের সিরাজ আকন্দের ছেলে।

জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, নরসিংদি ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আনা ২৫ যুবককে জয়পুরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারত হয়ে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে শহরের  দুটি হোটেলে এনে রাখা হয়েছিলো। দুটি হোটেলের মধ্যে শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেলে ১২ জন এবং পৃথিবী আবাসিক হোটেলে-১৩ জনকে রাখা হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাত ১১টায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ হোটেলটি ঘেড়াও করে। পরে হোটেলে তল্লাশী চালিয়ে রাতেই সৌরভ আবাসিক থেকে ১০জনকে এবং শনিবার সকাল ১১টার দিকে পৃথিবী আবাসিক হোটেল থেকে আরো ১১জনকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাম ডাকুয়া গ্রামের মৃত. কফিল উদ্দীনের ছেলে জাকারিয়া (২৭), একই উপজেলার মৃত. বক্তার হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮), বাদশা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া, একই উপজেলার পশ্চিম কালু বেলকা গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে মোসাদ্দেক হোসেন, লবিয়া গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া (২০), একই গ্রামের মৃত. আব্দুল আলীমের ছেলে হানিফা (৩৫), মৃত শহিদুল্লার ছেলে আল আমিন (২৩) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁন্দের কান্দি গ্রামের আ. লতিফের ছেলে রমজান আলী (২০) ও একই জেলার শিবপুর উপজেলার ধনিয়া গ্রামের নজি মদ্দীন। পরের ১১জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজার রহমান জানান, সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব নিরীহ প্রকৃতির যুবকদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজ দেয়া হবে বলে লোভ দেখিয়ে নেপালে পাচারের চেষ্টা করছিল। পাচারকারী আরো কতজনকে এ সীমান্ত পথে পাচার করেছে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ চক্রের অন্যান্য পাচারকারীদেরও শিগগিরই গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/প্রতিনিধি/এমএন)