logo ২৪ এপ্রিল ২০২৫
খালেদার জন্য একজন রিজভীর আবেগ!
বোরহান উদ্দিন, ঢাকাটাইমস
১৬ আগস্ট, ২০১৫ ২০:১২:০১
image


ঢাকা: ঠিকভাবে তিন বেলা খেতে পারেন না পয়সার অভাবে। সকালে খেলে বিকালে আহার জুটবে কী না সেই নিশ্চয়তাও নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সুযোগ সুবিধা নিবেন তেমন প্রত্যাশাও নেই মনের মধ্যে।

তবুও প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ঘুরঘুর করেন দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। পরিচিত কাউকে দেখলেই কিছু খাওয়ার জন্য আকুতি জানান ৩০ বছর বয়সী এই মানুষটি। তবে না দিলেও আপত্তি নেই। কারণ তার একটাই কথা ‘আমি বিএনপিকে ভালোবাসি। খালেদা জিয়া তার মা। মায়ের জন্য মরতেও রাজি। ’

ভাইয়ের মতো ভালোবাসেন তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে। তবে কোকোর মৃত্যুতে দারুনভাবে শোকাহত হয়েছিলেন এই মানুষটি।

না খেয়ে কিছু পয়সা সংগ্রহ করে কোকোর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে গুলশান কার্যালয়ের সামনে ব্যানার সাটিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।

যে মানুষটার কথা বলছি তার নাম রিজভী হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের এই ছেলেটি নিজেকে পরিচয় দেন বিএনপির কর্মী বলে। তবে কোনো পদ পদবী নেই। অনেকে তাকে পাগলা রিজভী বলেও ডাকেন।





তাতে কোনো রাগ নেই তার। বরং মাঝে মাঝে নিজেই নিজেকে পাগলা রিজভী বলে পরিচয় দেন।

কোকোর মৃত্যুর পরে তার ভাষ্য ছিল, “আমি বিএনপিকে ভালবাসি, ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) ভালবাসি। ম্যাডামের জন্য আমি আমার জীবন দিতে পারি। নিজের স্ত্রী-সন্তান ছাড়তে পারি’। তবে তার একটাই চাওয়া ছিল যেন বিএনপি আবার ক্ষমতায় যায়।

সেই রিজভীই এবার আলোচনায়। “মায়ের ” জন্ম দিনে। নিজের জমানো টাকা দিয়ে কেক কিনে তা কেটে বিএনপি চেয়ারপারসনের ৭০ জন্মদিন উদযাপন করে সে। অন্যদের মতো ৭০ পাউন্ডের কেক আনতে পারেননি তাতে কি। মৌচাক থেকে তিনশো টাকায় কেনা কেকটি দেখলে মনে হবে তা ৭০ পাউন্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে!

কেকের উপরের অংশ লেখা- শুভ জন্মদিন খালেদা জিয়া, প্রচারে রিজভী।

রবিবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষে নিচে নামতেই এই প্রতিবেদকের পথ আগলে দাঁড়ান রিজভী। হাতে থাকা কাগজের বাক্স খুলে কেক বের করে তার ছবি নেয়ার জন্য অনুরোধ করলেন। তার প্র¤œ, শুধু ছবিই নিবেন, নিউজ করবেন না?

পরে কেক নিয়ে চলে যান কার্যালয়ের তিন তলার কনফারেন্স রুমে। সেখানে উপস্থিত বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন। পরে নিচে এসেই কেক কাটার খবর দেন এই পাগল রিজভী।

কেন এই কেক? প্রশ্ন করলে রিজভী বলেন, “ম্যাডাম আমার মায়ের মতো। আমরা জন্মদিন পালন না করলে কারা করবে। আমি ম্যাডামকে ভালোবাসি। তার জন্য জীবন দিতে পারি।” শেষ পর্যন্ত তিনি আবার স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, নিউজ করতে যেন না ভুলি।

(ঢাকাটাইমস/১৬আগস্ট/বিইউ/ এআর/ ঘ.)