logo ২৬ এপ্রিল ২০২৫
“সাংবাদিকতা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, সবাইকে পাশে থাকতে হবে”
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১২:৫৩:৪৫
image


ঢাকা: সাংবাদিকদের কল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বন্ধুর চেয়ে বিরূপ মনোভাবাপন্ন লোকের সংখ্যাই বেশি হয়। তাই সাংবাদিকদের কল্যাণে সবার পাশে দাঁড়ানো উচিত।’  

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিআরইউর প্রয়াত সদস্যদের সন্তানদের ‘শিক্ষা ভাতা’ প্রদান উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ডিআরইউর প্রয়াত ১২ জন সাংবাদিকের ১৫ জন সন্তানকে মাসে এক হাজার টাকা করে এই শিক্ষাভাতা দেয়া হবে। ভাতার প্রথম পর্বের টাকা আজ সন্তানদের হাতে তুলে দেয়া হয়। শিশু শ্রেণি থেকে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়ারা এই ভাতা পাবেন।  

ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, ‘ডিআরইউর প্রয়াত সদস্যদের সন্তানদের জন্য যে শিক্ষাভাতা চালু করা হলো এটি অব্যাহত রাখার জন্য ৫০ লাখ টাকার এটি স্থায়ী সঞ্চয়ী আমানত প্রয়োজন। এ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ থেকে প্রতিমাসে এই ভাতা প্রদান করা হবে।’ এই তহবিল গঠনে মন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন তিনি।

পরে মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই তহবিল গঠনে সহায়তায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমি আমার পরিচিতজনদের এ ব্যাপারে বলবো। ব্যক্তিগতভাবে পাশে থাকবো। এছাড়া এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে কিছু করণীয় থাকলে তাও করবো।’



তিনি বলেন, ‘যেকোনো সংগঠন চালাতে টাকার প্রয়োজন। তার ওপর জনকল্যাণ সংগঠনের ক্ষেত্রে এই অর্থের ব্যবস্থা করা আরও কঠিন। তবে সবার সহযোগিতা পেলে এটা সম্ভব।’ প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাভাতা প্রদানের কার্যক্রম চালু করায় মন্ত্রী ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক ও সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, ‘ডিআরইউর যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি প্রশংসার দাবি রাখে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো এ ধরনের কাজে এগিয়ে এলে সাংবাদিকদের পরিবারের জন্য আরও বেশি কল্যাণমূলক কাজ করা যাবে।’

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘ডিআরইউর অনেক সাধ কিন্তু সাধ্য কম। স্বল্প সামর্থ্যরে মধ্যে থেকে যা করার সম্ভব আমরা তা করে যাচ্ছি।’

ডিআরইউর কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ শারমিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন, ডিআরইউর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম এবং প্রয়াত বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সহধর্মিণী।

যারা ‘শিক্ষা ভাতা’ পেলেন: প্রয়াত সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তালুকদারে ছেলে আরেফিন রাহাত (৮ম শ্রেণি), সামসুস সালেহীনের দুই সন্তান সাবিবা সালেহীন (৭ম), সামিউস সালেহীন (৩য়), ওবায়দুল গণি চন্দনের সন্তান রাফিন রায়ান (প্লে), আহমাদ কামরুল মিজানের দুই সন্তান আহমাদ তাহসিন বৃত্ত (৯ম), আহমাদুল তাজবীদ ইফতি (৫ম), সাগর সরওয়ার এবং মেহরুন রুনীর সন্তান মেঘ (৩য়), দীনেশ দাসের মেয়ে অন্বেষা অথৈই (৬ষ্ঠ), পথিক সাহার ছেলে প্রসূন প্রদীপ সাহা (৫ম), রাশেদ হোসেনের মেয়ে রাফিয়া জান্নাত রোদেলা (২য়), লুৎফুল খবীরের দুই সন্তান তাকি তাবিব ভূইয়া (এসএসসি), তাজওয়ার ভূইয়া (এইচএসসি), হোসাইন জাকিরের দুই সন্তান নিলয় (৯ম), আকাশ (৮ম) এবং আরিফ রহমানের মেয়ে অহনা রহমান (৫ম)।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে ডিআরইউ সদস্য সংখ্যা এখন এক হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে ৪৪ জন সদস্য মারা গেছেন। ডিআরইউর পক্ষ থেকে এক হাজার ৪০০ সদস্যের জন্য গ্রুপ বিমা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় স্বাভাবিক মৃত্যু হলে একজন সদস্য দুই লাখ টাকা পাবেন। দুর্ঘটনায় মারা গেলে পাবেন চার লাখ টাকা, দুর্ঘটনার কারণে চলাচলে অক্ষম হলে দেড় লাখ, আংশিক অক্ষম হলে ৫০ হাজার এবং বিশেষ কয়েকটি রোগের চিকিৎসা বাবদ পাবেন ৭৫ হাজার টাকা।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এইচএফ/জেবি)