logo ১৫ মে ২০২৫
ভার্সিটিছাত্রী ধর্ষণ: বেপরোয়া হয়ে ওঠে সবুজ, ভিডিও জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২০ অক্টোবর, ২০১৫ ১৮:৫৬:৫৬
image


ঢাকা: প্রেমে সাড়া না দেয়ার কারণেই নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মানিকগঞ্জের স্থানীয় ব্যাবসায়ী সবুজ। দীর্ঘ দিন ধরে লম্পট সবুজ আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থীর পিছনে ঘুরছিল। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে পার্টসের এই ব্যবসায়ী।

শনিবার বেলা ১১টায় সুযোগ বুঝে প্রাইভেটকার যোগে ওই ছাত্রীকে ঢাকার নর্দান ইউনিভার্সিটির ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ভিডিওবন্দি করার পর মেয়েটিকে আবার ক্যাম্পাসের সামনে ফেলে রেখে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ পুলিশ কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সবুজের স্বাীকারোক্তির ভিত্তিতে তার মোবাইলের মেমরিকার্ডটি জব্দ করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আমিনুর রহমান ধর্ষণের ভিডিওচিত্রটি জব্দ করে তা আদালতের কাছে জমা দিয়েছেন বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন। সবুজকে আজ আদালতের মধ্যমে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ অভিযুক্ত সবুজের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযুক্ত সবুজের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকালে তাকে থানায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভিকটিমও ২২ ধারায় নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দির তথ্য যাচাই বাছাই করা করা হচ্ছে। ভিকটিম বর্তমানে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার ফরেনসিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযুক্ত সবুজ সদর উপজেলার ঘোনা এলাকার জাকারিয়া মহীউদ্দিনের ছেলে। মানিকগঞ্জের ওয়্যারলেস গেট এলাকার ঈশান মটরের পার্টস ব্যবসা করে সে। আর ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি মানিকগঞ্জ শহরে। তারা একে অপরকে চেনে।

ওই ছাত্রী জানান, সবুজ দীর্ঘদিন ধরে তাকে প্রেমর প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় সে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল।

ওই ছাত্রী আরও জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীনিবাসে থাকেন। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে ঢাকার ছাত্রীনিবাসের সামনে থেকে প্রাইভেটকারে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সবুজ। এরপর নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে।

এ সময় সবুজ মোবাইল ফোনে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও ক্লিপও ধারণ করে। এরপর প্রাইভেটকারে করে তাকে ছাত্রীনিবাসের সামনে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে চলে যায় সবুজ। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/এএ/এআর/ ঘ.)