ঢাকা: সোহেলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাব্বি (১৬) ধরা পড়েছে পুলিশের জালে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে সোহেলীকে কোপানোর দায় স্বীকার করেছে। রাব্বি জানিয়েছে, মোটা বলে খেপানোর কারণে সে ক্ষুদ্ধ হয়ে কিশোরী সোহেলী আক্তারকে কুপিয়েছে।
রাজধানীর কদমতলীতে এ ঘটনায় সোহেলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় তার মা, ছোট বোন ও এক পথচারী মারাতœকভাবে জখন হন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাব্বির স্বীকারোক্তির বিষয়ে কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, নিহত কিশোরী সোহেলী আক্তার রাব্বির প্রতিবেশী ছিল। রাব্বি একটি কুকুর পুষত। নিহত ওই কিশোরী রাব্বিকে মোটা বলে খেপানোর কারণে সে বাসায় ঢুকে তাকে (কিশোরী) ও তার মাকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই কিশোরী নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, কিশোর রাব্বি এই হত্যা মামলার মূল আসামি। তার সঙ্গে আরেক সহযোগী ছিল, কিন্তু সে হত্যাকান্ডে অংশ নেয়নি। তবে তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
গত ৩ নভেম্বর কদমতলীতে ঘরে ঢুকে সোহেলী, তার মা শাহিদা মৃধা ডলি ও ছোট বোন সারা আক্তারকে কোপানো হয়। ওই সময় তাদের বাসার পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন জালাল আহমেদ নামে এক পথচারী। তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এর মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সোহেলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবার নাম আবদুল হান্নান মিয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। পরে তিনি বাদী হয়ে রাব্বিকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/এএ/এসবি)