সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বোরকা পরিহিত দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে এক সংখ্যালঘু পরিবারের কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর মুখ ঝলসে গেছে। বর্তমানে ওই কলেজ ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সোমবার রাতে ধামরাই উপজেলার কুশুরিয়া গ্রামের টোপবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অ্যাসিড নিক্ষেপের আলামত সংগ্রহ করে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মল্লিকা চক্রবর্তী (২০)। সে ধামরাই কুশুরিয়া এলাকার স্বপন চক্রবর্তীর মেয়ে। সে মানিকগঞ্জ জেলার দেবেন্দ্র কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্সের ছাত্রী।
ভুক্তভোগী মল্লিকার চাচাতো ভাই বিপিন কুমার সরকার জানান, সোমবার রাতে ৯টার দিকে খাবার শেষ করে ঘরের পাশে টিউবয়েলে পানি আনতে যায় মল্লিকা। এসময় বোরকা পরিহিত এক দুর্বৃত্ত তার মুখে আচমকা অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরে মল্লিকার আত্মচিৎকারে তার মা-বাবাসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। এসময় তার মুখে পানি দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তে করে স্বজনরা। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা সেবা চলছে।
এদিকে অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারটির একমাত্র মেয়ের এই করুণ অবস্থায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার মা মায়া চক্রবর্তী। ঘরের বারান্দায় খুঁটির সাথে হেলান দিয়ে যুবতী মেয়ের চিন্তায় তার চোখ বেয়ে অবিরত জল ঝড়ে পড়ছে। ক্ষণে ক্ষণে মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তায় ডুকরে কেঁদে উঠছেন।
মল্লিকার চাচাত বোন কণিকা চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তবে মল্লিকা সুস্থ হওয়ার পরই তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। তবে কে, সঠিক কি কারণে মল্লিকাকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে এব্যাপারে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
এব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ওই কলেজ শিক্ষার্থীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের আলামত পেয়েছে। তবে মল্লিকার অভিযোগ পেলেই এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)