ঢাকা: ৩৪তম বিসিএস ক্যাডারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী নিয়োগ পেয়েছেন। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারে ২৭৯ জন কর্মকর্তার মধ্যে ১০৭ জনই নারী। এ ছাড়া প্রথম ১০ জন কর্মকর্তার মধ্যে নারী ছয়জন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো এক বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে এত বিপুলসংখ্যক নারী নিয়োগ পেলেন।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩৪তম বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের জন্য ২০২০ জনের নিয়োগ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তালিকা থেকে দেখা যায়, প্রশাসন ক্যাডারের প্রথম ১০ জনের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছেন মুনিরা চৌধুরী। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানও নারীর দখলে- তারা হলেন সাঈদা পারভীন ও সাইয়েমা হাসান। ষষ্ঠ স্থানে মাহমুদা বেগম, অষ্টম স্থানে কোহিনুর জাহান এবং নবম স্থান দখল করেছেন রাবেয়া আক্তার।
এদিকে তথ্য ক্যাডারের তিনজন কর্মকর্তার মধ্যে দুজনই নারী। তারা হলেন মারুফা রহমান ইমা ও মোসা. তানিয়া আক্তার।
ডাক বিভাগে দুজনের মধ্যে একজন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
পুলিশ ক্যাডারসহ অন্যান্য ক্যাডারেও নারীর উপস্থিতি লক্ষণীয়।
এবার নারীদের ভালো করার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য আনোয়ারা বেগম ঢাকাটাইমসকে বলেন, “নারীরা এখন অনেক সচেতন। তারা পরিবেশ ও সুযোগ পাচ্ছেন বেশি এবং তারা সে সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে। অভিভাবকরাও এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আগে নারীদের এ রকম সুযোগ ছিল না।প্রশাসনে নারীদের এই উপস্থিতি দেশের জন্য ইতিবাচক। এর মধ্য দিয়ে নারীরা আরও একধাপ এগিয়ে গেল।”
সাবেক জনপ্রশাসন সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার বলেন, “নারীরা দক্ষতা ও যোগ্যতায় এখন অনেক এগিয়ে। সব ক্ষেত্রেই তারা যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। বিসিএস ক্যাডারে তাদের এ উপস্থিতি সে অগ্রগতিরই ইঙ্গিত।এটা নারীর উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখবে।এ ছাড়া নারীদের জন্য যে কোটা রয়েছে সেটা তাদের বাড়তি পাওয়ানা।”
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) ইব্রাহীম হোসেন খান বলেছেন, নারীরা মেধার স্বাক্ষর রেখেছে।তারা এগিয়ে যাচ্ছে যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়েই। অগের যেকোনো সময়ের চেয়ে তারা সুযোগ বেশি পাচ্ছে। বিসিএস ক্যাডারে তাদের এই উপস্থিতি তারই লক্ষণ।
৩৪তম বিসিএসের নিয়োগের কপি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আগামী ১ জুন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশিত কার্যালয়ে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ লাখ ২১ হাজার ৫৭৫ জন প্রার্থী এই পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৯৫ হাজার পরীক্ষার্থী।
(ঢাকাটাইমস/১৬মে/এএ/এমএম/মোআ/ এআর/ঘ.)