অফিস ডেস্ক যখন ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৫ মে, ২০১৬ ১৯:৫০:১৩

ঢাকা: চাকরিজীবী বা পেশাজীবীদের অধিকাংশ সময়ই কাটে অফিসের ডেস্কে। অফিসের ডেস্ক আপনার ব্যক্তিত্বও প্রকাশ করে। একটি অগোছালো বা নোংরা ডেস্ক খারাপ অনুভূতি তৈরি করে, যা আপনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং পেশাগত পরিবেশে ব্যাঘাত তৈরি করতে পারে। তাই ডেস্ক সুশৃঙ্খলভাবে গুছিয়ে রাখা শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে।
নয়াদিল্লির আরবানিস্তা ইমেজ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা সীনা আগারওয়াল বলেন, অগোছালো ডেস্ক কোনো শৃঙ্খলার অংশ নয়। এটি স্থূল অবহেলার একটি বহিঃপ্রকাশ। এটা প্রয়োজনীয় এই কারণে, ব্যক্তি হিসেবে এর প্রতিফলন আপনার ওপর পড়ে এবং উপলব্ধি ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।
তাহলে সুশৃঙ্খল উপায়ে ডেস্ক গুছিয়ে রাখতে এর উপর কি কি রাখা উচিত?
সীনা আগারওয়াল এই ব্যাপারে বলেন, এর তালিকা অনেক বড়। তবে ডেস্কের ওপর কি রাখা উচিত তা শুরু করতে আপনার কাজ ও প্রতিষ্ঠানের ধরনের বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। ধরুন, একটি বিনিয়োগ ব্যাংকের ডেস্কে আপনি যদি ব্যক্তিগত ছবি বা নোটস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখেন, তা দেখে গ্রাহকদের ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে আসবে। মানুষ টাকা দিয়ে আপনাকে বিশ্বাস করবে না। তাই গ্রাহকদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করাটাও এখানে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই অফিস ডেস্কে উপযুক্ত কিছু ছবি এবং প্রয়োজনীয় স্টেশনারি ছাড়া অন্য কিছু রাখবেন না। তবে এই নিয়মটি ভিন্ন হতে পারে তখন, যদি কোনো সৃজনশীল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। সেখানে আপনি মনের মাধুরী মিশিয়ে অফিস ডেস্ক সাজাতে পারেন।
সীনা ব্যাখ্যা করে বলেন, আপনার অভিব্যক্তি, আবেগ যেন বৃথা না যায়। সৃজনশীলতার শক্তি সতেজ রাখুন, নোংরা নয়। অফিস ডেস্ক এমনভাবে সাজানোর দরকার নেই যা উদ্বেগের সৃষ্টি করে। মনে রাখবেন, সাজানোর জন্য আপনার বাড়ি কিন্তু আছেই।
উভয় ক্ষেত্রেই ডেস্কের ওপর প্রচুর কাগজপত্র ও ফাইল রাখবেন না। যদি অতিরিক্ত জায়গা থাকে সেখানে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো রাখতে পারেন।
নারীরা তাদের কাজের জায়গায় গোলাপী বা লাল রঙের জিনিসপত্র দিয়ে ভরিয়ে ফেলবেন না। কর্পোরেট বিশ্বে আপনার নারীবাদী আচরণকে যদি সামনে নিয়ে আসেন তাহলে ক্যারিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আপনি যদি একাধিক জুতা, পোশাক রাখতে চান তাহলে তা সতর্কতার সঙ্গেই রাখুন।
খুবই অত্যাবশ্যক না হলে ডেস্কে খাবার খাবেন না। চা, কফি, কোমল পানীয় এবং খাবার খাওয়ার পর তা সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে নিন।
(ঢাকাটাইমস/২৫মে/এসআই/এমআর)