logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
আসলামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার এজাহারে যা রয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৯ মে, ২০১৬ ০০:০৬:৪২
image




ঢাকা: ইসরায়েলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের সূত্রে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে পুলিশ। মামলার এজাহারে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র এবং  দেশে নাশকতা উসকে দিয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।  এর আগে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কওে পুলিশ।







আসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, “আসামি বিএনপির কতিপয় নেতা, কথিত সাংবাদিক, কিছু ষড়যন্ত্রকারীর সাথে আলোচনাক্রমে অবৈধ পন্থায় নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার জন্য দলের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ৫ মার্চ ভারতে যান। ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে বাংলাদেশের জৈনক নাগরিক শিপন, সঞ্জীব ও মতিন এবং বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সর্ম্পকবহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদীর সঙ্গে একাধিকার বৈঠক করেন।”







এজাহারে বলা হয়, “উক্ত বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের নিমিত্তে সন্ত্রাস, খুন, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন যা দেশের অখ-তা, স্বাধীনতা, ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং রাষ্টদ্রোহিতার শামিল।”






“(তিনি) বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে শলা-পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তার (সাফাদি) সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকার ও সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ সফর করতে থাকেন যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।






“ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদি এবং উল্লেখিত শিপন, মতিনের সাথে পরামর্শ গ্রহন করে তিনি (আসলাম) সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে ক্ষমতার পটপরিবর্তনে বিশ্বাসী হয়ে ভবিষ্যতে সুবিধা লাভের প্রত্যাশায় নাশকতামূলক অপরাধ এবং রাষ্ট্র, সরকার ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস এবং উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন।”






এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালে সঞ্জিব শিপনের সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর পরিচয় হয় এবং তারা আসলাম চৌধুরীর গুলশানের নিকেতনের বাসায় মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ের পরে আসলাম চৌধুরী লন্ডনে যান । সেখানে বসে তিনি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন।






সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা, বোমাবাজির সঙ্গে ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করে এজাহারে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত রিটা কাটৎজের দ্বারা পরিচালিত সাইট ইন্টিলিজেন্সে প্রকাশিত আইএসআইএস ও আল-কায়দার নামে বাংলাদেশে বিভিন্ন হত্যাকা- বোমাবাজির ঘটনার দায় স্বীকারের সাথে উক্ত ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।






“(আসামি) উপরে বর্ণিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন মাধ্যম সন্ত্রাস, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করেন, এ ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপদ নয় মর্মে মিথ্যা প্রচারণা চালান যা দেশের অখ-তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং রাষ্টদ্রোহিতার শামিল।






আসামি এহেন কার্যকলাপ দ্বারা ১৮৬০ সনের দি পেনাল কোডের ১২০-খ,১২১ক, ১২৪ ক ধারার অপরাধ করেছেন। বিধায় উল্লেখিত ধারায় নিয়মিত মামলা রজু করা একান্ত প্রয়োজন।”






এজাহারের সঙ্গে আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সরকারি অনুমতির প্রজ্ঞাপন সংযুক্ত করে দেয়া হয়।






বর্তমানে কারাগারে আটক আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা এজাহারটি নিচে হুবহু তুলে দেয়া হলো:






যথাযথ সম্মানপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে আমি পুলিশ পরিদর্শক (নির:) গোলাম রাব্বানী গুলশান জোনাল টিম গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য  বিভাগ (উত্তর) ডিএমপি ঢাকা। এই মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে , গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য উত্তরের সাধারণ ডায়েরী নম্বর-৪৭২ তারিখ ১৪-০৫.২০১৬ ধারা ৫৪ দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ মূলে আসামি মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে গত ১৫.০৫.২০১৬ ইং তারিখে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে সাত দিনের রিমান্ডে এনে ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে ,আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব, দলের আরও কতিপয় নেতা, কথিত সাংবাদিক,কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে আলোচনাক্রমে অবৈধ পন্থায় নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার জন্য দলের পক্ষ থেকে গত চলিত বছরের ৫ মার্চ ভারতে যান। ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে বাংলাদেশের জৈনক নাগরিক শিপন, সঞ্জীব ও মতিন এবং বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক বহির্ভূত রাষ্ট ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদীর সঙ্গে একাধিকার বৈঠক করেন। সেই স্বাক্ষাতের বেশকিছু ছবি,প্রিন্ট , ইলেকট্রনিক ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। তিনি ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত  ভারতে অবস্থান করাকালীন ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য/এজেন্টের সাথে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সফর করেন এবং একাধিক বৈঠকে মিলিত হন। এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকারকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উৎখাতের লক্ষ্যে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের নীল নকশা প্রনয়ন করেন। এই নীল নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উক্ত বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের নিমিত্তে সন্ত্রাস,খুন, ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন যা দেশের অখন্ডতা, স্বাধীনতা, ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ এবং রাষ্টদ্রোহিতার শামিল। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিনত করার লক্ষে শলা পরামর্শ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং তার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকার ও সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করার লক্ষে বিভিন্ন দেশ সফর করতে থাকেন যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদি এবং উল্লেখিত শিপন,মতিনের সাথে পরামর্শ গ্রহন করে তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে বিশ্বাসী হয়ে ভবিষ্যতে সুবিধা লাভের প্রত্যাশায় নাশকতামূলক অপরাধ এবং রাষ্ট সরকার ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস এবং উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৫ সালে সঞ্জিব শিপনের সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর পরিচয় করিয়ে দেন। এবং তারা আসলাম চৌধুরীর গুলশানের নিকেতনের বাসায় মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ের পরে আসলাম চৌধুরী লন্ডনে যান । সেখানে বসে তিনি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেন।






ধারনা করা হচ্ছে সাম্প্রতিকালে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট বানানোর প্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম,ষড়যন্ত্রমুলক হত্যা, বোমাবাজির সাথে ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে। যুক্তরাষ্ট  ভিত্তিক ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত রীটা কাটৎজের দ্বারা পরিচালিত সাইট ইন্টিলিজেন্সে প্রকাশিত আইএসআইএস ও আল কায়দার নামে বাংলাদেশে বিভিন্ন হত্যাকান্ড বোমাবাজির ঘটনার দায় স্বীকারের সাথে উক্ত ষড়যন্ত্রের যোগসূত্র রয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়।






দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা বিঘœ সৃষ্টি করে জণগনের জানমাল ক্ষতি সাধণ করত আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ পন্থায় উৎখাতের নিমিত্তে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপরে বর্নিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষে বিভিন্ন মাধ্যম সন্ত্রাস, ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করেন, এছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপদ নয় মর্মে মিথ্যা প্রচারনা চালান যা দেশের অখন্ডতা,স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরুপ এবং রাষ্টদ্রোহিতারশামিল। আসামির এহেন কার্যকলাপ দ্বারা ১৮৬০ সনের দি পেনাল কোডের ১২০-খ,১২১ক, ১২৪ ক ধারার অপরাধ করেছেন। বিধায় উল্লেখিত ধারায় নিয়মিত মামলা রজু করা একান্ত প্রয়োজন। উদ্ধৃতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পরে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হল। উপ-কমিশনার গোয়েন্দা অপরাধও তথ্য বিভাগ উত্তর মামলাটির তদন্তের ব্যবস্থা করবেন।






(ঢাকাটাইমস/২৯মে/এএ/মোআ)