logo ১৫ মে ২০২৫
‘দুর্নীতি ও পাচারের টাকায় বছরে দুটি পদ্মা সেতু করা সম্ভব’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৭ জুন, ২০১৬ ১৫:৪০:৩৬
image



ঢাকা: ইকুইটিবিডি’র চিপ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দুর্নীতি ও বাংলাদেশে থেকে যে পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয় তা দিয়ে বছরে দুটি পদ্মা সেতু তৈরি করা সম্ভব। দেশের ব্যাংকে সঞ্চয় বাড়ছে না অথচ বিদেশের বাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।






মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ‘কর বৃদ্ধি নয় বরং অর্থ পাচার বন্ধ হোক সর্বোচ্চ অগ্রধিকার: ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরিতে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নিজেদের অবস্থানপত্র তুলে ধরতে ইকুইটিবিডি নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।






রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৬৫ ভাগ। আর মালয়েশিয়ায় চীনের পর সবচেয়ে বেশি বাড়ি বানিয়েছে বাংলাদেশিরা।






সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অবস্থানপত্রে সংগঠনের গবেষক আহসানুল করিম বাবর ১১ দফা প্রস্তাব দিয়ে বলেন, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেসব বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়েছে তাদের সব অর্থনৈতিক তথ্যের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যাংক লেনদেনের স্বচ্ছতার ওপর আন্তঃদেশীয় চুক্তি করতে হবে। বেনামি সম্পদ কেনার ক্ষেত্রে ভারতের পথ অনুসরণে আইন করতে হবে।






তিনি বলেন, গ্লোবাল ফাইন্যান্সশিয়াল ইনটিগ্রিটি ( জিএফআই) এর ২০১৫ সালের রিপোর্টে ২০০৪ সাল থেকে ২০১৩ এই দশ বছরে বিল কারচুপি, ঘুষ, দুর্নীতি, আয়কর গোপন ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে ৫,৫৮৭.৭০ কোটি ডলার। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার এদেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।






অপ্রদর্শিত অর্থনৈতিক কাজকর্মকে বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাপনার অন্যতম দুর্বল ভিত্তি উল্লেখ করে ইকুইটি বিডির এ গবেষক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ পরিচালিত পৃথক গবেষণায় বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনানুষ্ঠানিক অর্থের পরিমাণ মোট জিডিপির ৪৮% থেকে ৮৪% উল্লেখ করা হয়েছে।






তিনি আরও বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রকৃত কর দেয় না। দেশের শীর্ষ চার সেলফোন অপারেটর সিম রিপ্লেসমেন্টের নামে নতুন সিম বেচে ৩১০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। অন্যদিকে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড তাদের দু’টি ব্র্যান্ডের সিগারেটের মূল্যস্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ১৯২৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।






বাজেটে সুদ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন বাজেটে শতকরা প্রায় ১২% সুদ পরিশোধে খরচ ধরা হয়েছে। যা আগের বছরের চেয়ে ২৬% বেশি। নতুন বাজেটে সুদ পরিশোধ বাবদ ৩৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা ব্যায় বরাদ্দ ধরা হয়েছে।






সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যের মধ্যে সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য জায়েদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।






(ঢাকাটাইমস/০৭জুন/জিএম/জেবি)