logo ১৫ মে ২০২৫
বেগুনের সেঞ্চুরি!
তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস
০৭ জুন, ২০১৬ ১৬:২১:৫৪
image



ঢাকা: রমজানে প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন। দু-চার দিন আগেও যে লম্বা বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, তা মঙ্গলবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।






মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।






ব্যবসায়ীরা বলছেন, “রমজানে যে কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বেগুন। বিশেষ করে ইফতারের আইটেমের জন্য যেসব সবজির চাহিদা বেশি, পাইকারি বাজারে এর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। তাই আমরা বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করি।”






তারা জানান, বেগুন ছাড়াও চাহিদা বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ, রসুন, চিনি, ছোলা, ডাল, খেঁজুর, শসা, কাঁচামরিচের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেশ বেড়েছে।






তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, রমজানের কারণে বেগুনের চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়েনি। তাই দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজানের প্রথম সপ্তাহেই এ ধরনের  চাপ থাকবে। পরে পণ্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান তারা।






এদিকে, ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই নানা অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতারা তাদের কাছে জিম্মি; কারণ পণ্যের দাম বাড়লেও তা কিনতে হবে তাদের।






মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।






বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০, ১০০ ও ১০৫ টাকায়। গত সপ্তাহের শুরুর দিকেও এর দাম ছিল মানভেদে ৭৮-৮০ টাকা ও ৬০-৬৫ টাকা।






বাজারে দেশি পেঁয়াজ আকারভেদে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩৫ টাকা। তবে চীনা রসুন ২১০-২২০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৩০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল যথাক্রমে ৯০ ও ১৯০।






দাম বেড়েছে খেজুরেরও। প্রতি কেজি খেঁজুর এক মাস আগে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকা।






প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়, বুটের ডাল ৮৫ টাকা, আটা খোলা ৩০, ময়দা ৪০, লুজ সোয়াবিন তেল ৮১, পামওয়েল ৭২, সরিষার তেল ১২০, তীর বোতল পাঁচ লিটার ৪৩৫, রূপচাঁদা ৪৫৫, মিনিকেট চাউল কেজি ৪৪, নাজির শাইল ৪৫, পারিজা ৩৩, মোটা চাউল ২৮, পোলাওর চাল ৯৮।






এদিকে রমজানে দাম বেড়েছে মাছের বাজারেও। প্রতি কেজি দেশি রুই আকারভেদে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আমদানিকৃত রুই ১৮০ থেকে ২৮০, বড় কাতলা ৩০০ থেকে ৪০০, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০, চিংড়ি আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৭০০, চাষের কৈ ২০০ থেকে ২৫০, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৬০, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৮০, মাগুর ৭০০ থেকে ৮০০, আইড় ৩০০ থেকে ৬৫০, বোয়াল ৩০০ থেকে ৫০০, পাবদা ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মাপের ইলিশ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।






মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানে মাছের চাহিদার কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। আগামী সপ্তাহনাগাদ দাম কিছুটা কমতে পারে।






(ঢাকাটাইমস/৭জুন/টিএ/মোআ)






বেগুনের কেজি ৮০ টাকা!