logo ০৮ জুলাই ২০২৫
ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে
ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
১৫ জুন, ২০১৬ ১২:৩০:১৩
image



ঢাকা: কদম ফুলের সঙ্গে আষাঢ়ের খুব ভাব। যদিও কদম ফুল আষাঢ়ের অপেক্ষায় ছিল না। বহু আগেই ফুটিয়েছে ফুল। তবুও যেনো কদমের হাত ধরেই বর্ষা এলো। বর্ষা এলো জারুল ফুলের মন মাতানো রঙে। বাংলা পঞ্জিকায় আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। কবি গুরুর ভাষায়- নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে।






আষাঢ় নিয়ে প্রীতি ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামেরও। আর তাইতো তিনি লিখেছিলেন, ‘আষাঢ়ে বাদল নামে নদী ভরভর/মাতিয়া ছুটিয়া চলে ধারা খরখর/দুই কুলে বনে বনে পড়ে যায় সাড়া/বর্ষার উৎসবে জেগে ওঠে পাড়া।






এদিকে আষাঢ়ের প্রথম দিন সকালেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। যদিও বৃষ্টির দেখা মিলছে গত কয়েকদিন ধরেই। ফলে সহ্যের সীমায় আছে তাপমাত্রাও। তবে নগরের ব্যস্ত জীবনে আষাঢ় যেনো বেরসিক। কেননা, ঝম করে বৃষ্টি নামলেই পথচারীরা ইতিউতি করে খুঁড়ে বেড়ান ছাউনি। পথে ঘাটে দেখা যায় জলাবদ্ধতা। এছাড়াও যানবাহন সংকট তো আছেই।






ষড়ঋতুর অন্যতম এই বর্ষা ঋতু যা বাংলাদেশের আবহাওয়া, পরিবেশ আর মনোজগতকে একেবারে বদলে দেয়। অধোর ধারায় বৃষ্টিস্নাত হয়ে সবুজ গাছগাছালিতে সুন্দর হয়ে ওঠে ধরিত্রী। তাই এই বর্ষা ঋতু নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদের বন্দনা-বর্ণনার শেষ নেই যেন।






বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গ্রামের খাল বিল সব তলিয়ে যেতে শুরু করে। নদীগুলো পানিতে ভরে যায় । শ্রাবণ মাস যখন আসে তখন আমাদের দেশের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। গ্রামীণ জনপদ হয়ে ওঠে বর্ষার পানিতে টইটম্বুর । গ্রামীণ বাড়িগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয়ে ওঠে। তখন চলাচলের বাহন হয় নৌকা।






গ্রাম বাংলায় ক্রমাগত বৃষ্টি আর নদীর পানির স্রোতধারা এনে দেয় এক ভিন্ন  আমেজ । মনে ও মননে  নতুন অনুভূতি আনে। বৃষ্টি সবারই ভালো লাগে শিশু-কিশোর বয়সে তো বৃষ্টিতে ভিজতে মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বৃষ্টি প্রকৃতিকে যেমন ফলে ফসলে ভরিয়ে দেয় তেমনি আমাদের মন-মানসকেও স্পর্শ করে।






(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এজেড)