logo ২২ এপ্রিল ২০২৫
আয়করদাতাদের কিছুটা স্বস্তি দিলেন অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৯ জুন, ২০১৬ ১৫:৩২:৪১
image



ঢাকা: যারা আয়কর দেন তাদের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সুখকর ছিল না। কারণ, আয়কর রেয়াত পাওয়া যায় এমন বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা বাতিল করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তবে অর্থবিল পাসের আগে আয়করদাতাদের কিছু সুবিধা বাড়িয়েছেন তিনি।






আয়যোগ্য করেন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নির্দিষ্টখাতে বিনিয়োগ দেখানোর সুযোগ থাকে করদাতাদের জন্য। এর বিপরীতে কর রেয়াত পান তারা। গত অর্থবছর পর্যন্ত করদাতারা তাদের করযোগ্য আয়ের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগের সুযোগ পেতেন। আর এর বিপরীতে ১৫ শতাংশ কর রেয়াত পেতেন। কিন্তু চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে ৩০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে। ফলে আয়করদাতাদেরকে আগের তুলনায় অনেক বেশি কর দিতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্য তহবিলের (প্রভিডেন্ট ফান্ড) মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার প্রস্তাব করা হয়।






অর্থবিল পাসের দিন অর্থমন্ত্রী করদাতাদের জন্য কিছুটা সুবিধা দিয়ে আগের প্রস্তাব কাঁটছাঁট করেন। করযোগ্য আয়ের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করেন।






অর্থাৎ কারও করযোগ্য আয় চার লাখ টাকা হলে এক লাখ টাকা তিনি নির্দিষ্ট কিছু খাত যেমন, সঞ্চয়পত্র, জীবন বিমা, ভবিষ্য তহবিল, পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনেও কর রেয়াতের সুবিধা নেয়া যাবে। আর এই এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে করদাতাকে ১৫ শতাংশ হাতে ১৫ হাজার টাকা কম কর দিতে হবে। তবে বিনিয়োগের পরিমাণ বেশি হলে রেয়াতের হার কমবে।






গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা কমানোয় করদাতাদের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিল। এই সুবিধা বাড়ানোর ফলে কিছুটা স্বস্তি পাবে তারা।









সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার পায়েল ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘করদাতাদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা না কমিয়ে সরকারের উচিত ছিল নতুন কর মানুষকে করজালে অন্তর্ভুক্ত করা। সেটা না করে সরকার যা করেছে তাতে সৎ করদাতা যারা রাষ্ট্রকে নিয়মিত তাদের প্রাপ্য দিয়ে আসছেন তাদের প্রতি কিছুটা অবিচার করা হয়েছে।’






এই আইনজীবী মনে করেন, সরকারের নতুন বিধানের ফলে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা কো-অপারেটিভ সোসাইটি বা সমবায় সমিতির নামে চলা ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ বেড়ে যেতে পারে। এতে করে আবারও টাকা হারানোর শঙ্কায় পড়বে মানুষ।









তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের পণ্যে রপ্তানিমূল্যের ওপর উৎসে কর ১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে। সইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের স্থান ও ভাড়ার ওপর ভ্যাট পুরোপুরি অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।






বাজেট প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। তার সবকটিই রেখেছেন মুহিত। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করেছন। তার সব প্রস্তাবই গ্রহণ করা হয়েছে’।






অর্থমন্ত্রী গত ২ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের সঙ্গে এই অর্থবিল উত্থাপন করেছিলেন।






ঢাকাটাইমস/২৯জুন/ডব্লিউবি