logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
‘মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে’
মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস
০৯ জুলাই, ২০১৬ ২০:১৪:১৮
image



আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর): ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপির বিশেষ অর্থানুকূল্যে নির্মিত কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর সেমিপাকা ভবনের শুভ উদ্বোধন করেছেন ‘ঢাকাটাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন।






প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘মরহুম কাঞ্চন মুন্সী মারা গেছেন শত বছর আগে, কিন্তু তিনি এখনো জীবিত আছেন তাঁর কর্মের মাঝে। তিনি বেঁচে থাকবেন যত দিন এই দুনিয়া থাকবে, কাঞ্চন একাডেমী থাকবে, কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন থাকবে। আমরা সবাই মরে যাব, থাকবে আমাদের কর্ম। সৎকর্ম আমাদের ভালো ফল দেবে দুনিয়ায় এবং আখেরাতে।’






কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ভূমিকার কথা তুলে ধরে আরিফুর রহমান বলেন, ‘মরহুম কাঞ্চন মুন্সী সাহেব এই প্রতিষ্ঠান না করলে আমার মতো ক্ষুদ্র আরিফুর রহমান দোলন এবং আজকের অসংখ্য গুণী ব্যক্তিত্ব তৈরি হতো কি না সন্দেহ। কারণ তখন সেই সামর্থ্য অনেকেরই ছিল না। কাশিয়ানী, বোয়ালমারী, ফরিদপুর, খুলনায় গিয়ে পড়ালেখা করার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না কারও। তখন যে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল তাতে খুলনা যেতে এক দিনের বেশি সময় লাগত, ফরিদপুর যেতে লাগত পুরো দিন। সেই পরিস্থিতি, সেই যোগযোগব্যবস্থা, সেই আর্থিক-সামাজিক ব্যবস্থায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া একরকম অসম্ভব ছিল। সেই সুযোগ করে দিয়েছিল কাঞ্চন একাডেমি। আল্লাহ তাঁকে বেহেশত নসিব করুন।’






কাঞ্চন মুন্সী পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় গর্ববোধ করে ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘আমি মনে করি, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমী কোনো পারিবারিক প্রতিষ্ঠান নয়। প্রতিষ্ঠানটি এই এলাকাকে যেভাবে আলোকিত করেছে, মরহুম কাঞ্চন মুন্সী সাহেব কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি যেভাবে মানুষের মাঝে বিলিয়ে গেছেন, আমি মনে করি সেই পরিবারের অনেক দায় এখনো রয়ে গেছে।  এই পরিবারে জন্ম হওয়ায় আমার গর্ব হয় এবং আমারও দায় আছে এই সমাজের জন্য, এই মাটির জন্য।’






এলজিআরডি মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘তিনি এই ফরিদপুরের কৃতী সন্তান। তাঁর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের ফলে আজ আলফাডাঙ্গার মানুষ উন্নয়নের মুখ দেখতে পাচ্ছে। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, সারা দেশে ৪০টির মতো টিটিসি হবে, তার মধ্যে একটি হবে এই কামারগ্রামে; যেখানে লেখাপড়া করলে ছেলেমেয়েরা নিজের কর্মসংস্থান নিজেই করে নিতে পারবে। কারো কাছে চাকরির জন্য হাত পাততে হবে না তাদের।’






আরিফুর রহমান বলেন, ‘আপনারা আরও জানেন, আলফাডাঙ্গায় ৮৭টি কাঁচারাস্তা পাকাকরণের ব্যবস্থা করেছি। আরও হবে। আলফাডাঙ্গায় একটি রাস্তাও কাঁচা থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’






আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, উপদেষ্টা মরহুম কাঞ্চন মুন্সীর নাতনি মিশরী রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ফজলার রহমান প্রমুখ।






এ সময় কাঞ্চন মুন্সী পরিবারের অন্যতম সদস্য নাদিয়া আফসীন দীপা, আরিফুর রহমান দোলনের স্ত্রী ডা. মাফরুহা রহমান, কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর উপদেষ্টা বাবু ওমর কুমার দাসসহ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্কুলের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। 






অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন তরুণ সমাজসেবক এবং আসন্ন গোপালপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান।






(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/প্রতিনিধি/জেবি)