ঢাকা: সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতাদের জোট অ্যালায়েন্স বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। সংগঠনটি বলেছে, গত কয়েকদিনে বাংলাদেশে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক কেনা তারা অব্যাহত রাখবে। খবর বিবিসির।

রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরিতে আমেরিকান ক্রেতাদের নিয়ে ২০১৩ সালে অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি নামে একটি জোট গঠিত হয়। এ জোটে গ্যাপ ও ওয়ালমার্টের মতো বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। ঢাকার গুলশানে ১ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জন নিহত হন, যাদের অনেকেই তৈরি পোশাক ব্যবসায় সম্পৃক্ত ছিলেন।



অ্যালায়েন্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জেমস মরিয়ার্টি  বলছেন, ‘আমাদের সদস্য দেশগুলো আগের মতোই তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখবে। কোনো ব্রান্ড তাদের কার্যাদেশ তুলে নিয়েছে বা বাতিল করেছে— এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তৈরি পোশাক খাতে কাজ করে, এমন কিছু বিদেশি কোম্পানি ১ জুলাই গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার পর তাদের কর্মীদের বাংলাদেশে সফর স্থগিত করেছে।

বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সাবধানতা গ্রহণের জন্য সোমবার মার্কিন নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

ঢাকায় এক সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মরিয়ার্টি।তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ দূতাবাস থেকেই তাদের নাগরিকদের এমনভাবে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে যাতে তারা দৃশ্যমান না হয়। অনেক বড় বড় ব্রান্ড তাদের বিদেশি কর্মীদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না। কিন্তু বেশির ভাগেরই হয় বাংলাদেশি অথবা দক্ষিণ এশীয় প্রতিনিধি ঢাকায় কাজ করছে।’

মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যারা এ রকম হামলা করছে তাদের সংখ্যা খুবই কম। তাদের সমর্থন আরও কম।’

অ্যালায়েন্সের সদস্য ২৮ কোম্পানি বাংলাদেশের যে সব গার্মেন্ট থেকে পোশাক কেনে তেমন ৭০০ কারখানায় কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করছে এ জোট। সে সব কারখানার নিরাপত্তা তদারকি ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে অ্যালায়েন্সের।

(ঢাকাটাইমস/ ১৩ জুলাই /এআর /ঘ.)