ঢাকা: এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার, শেষ হবে শুক্রবার। চার দিনের এই জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২২টি অধিবেশনে সাজানো হয়েছে। এবারের সম্মেলনে ডিসিরা ৩৩৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্মেলনে এসব বিষয়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। শুক্রবার শেষ হবে এই সম্মেলন।
সচিব জানান, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মোট অধিবেশন থাকছে ২২টি। এর মধ্যে কার্যঅধিবেশন হবে ১৮টি। এই ১৮টি কার্য-অধিবেশনে অংশ নেবে মোট ৩৯টি মন্ত্রণালয়।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঘটনা গুরুত্ব পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিসিদের চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসনের একটি বড় সম্মেলন হচ্ছে জেলা প্রশাসক সম্মেলন। প্রতি বছরের এই সম্মেলন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ সম্মেলনে ডিসিরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন এবং প্রতিটি জেলার বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে পারেন।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিষয়ে সচিব বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার দুঃখজনক ওই ঘটনার পর জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের আইনশৃঙ্খলার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য এরই মধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোর কমিটি আছে এবং নাশকতাবিরোধী কমিটি আছে, সেগুলোকে কার্যকর করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনেও এ ব্যাপারে তাদের বাড়তি নির্দেশনাও দেয়া হবে।
প্রথম দিন ২৬ জুলাই
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রথম অধিবেশন শুরু। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করবী হলে বিভিন্ন বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করবেন জেলা প্রশাসকেরা। ১২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের টাইগারসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের ফটোসেশন।
প্রথম অধিবেশনের পর প্রথম আলোচনায় এবার স্থান পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সবার জন্য গৃহ কর্মসূচিসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগগুলো। দ্বিতীয় আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তৃতীয় আলোচনায় অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, চতুর্থ আলোচনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পঞ্চম আলোচনায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় দিন ২৭ জুলাই
দ্বিতীয় দিন ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ৮টি অধিবেশন। প্রথম আলোচনায় স্থান পেয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণলায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়, দ্বিতীয় আলোচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থা্ন মন্ত্রণালয়। তৃতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে শিল্পমন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চতুর্থ আলোচনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। পঞ্চম আলোচনায় স্থান পেয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ষষ্ঠ আলোচনায় স্থান পেয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সপ্তম আলোচনায় স্থান পেয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়।
অষ্টম আলোচনায় স্থান পেয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সাক্ষাৎ।
তৃতীয় দিন ২৮ জুলাই
তৃতীয় দিন ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ছয়টি অধিবেশন। প্রথম আলোচনায় স্থান পেয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, দ্বিতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয়।
চতুর্থ দিবস ২৯ জুলাই
চতুর্থ দিবস ২৯ জুলাই প্রথম আলোচনায় স্থান পেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
দ্বিতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।’
তৃতীয় আলোচনায় স্থান পেয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। চতুর্থ অধিবেশনে সমাপনী অনুষ্ঠান।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এইচআর/জেবি)