logo ০৪ জুলাই ২০২৫
মানসিক সমস্যাগ্রস্ত প্রেসিডেন্টদের সাফল্যের কাহিনি
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১১ আগস্ট, ২০১৬ ১৮:১৯:০৮
image



ঢাকা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার মানসিক সমস্যা ছিল। তবে এটি তাদের সঙ্কটময় পরিস্থিতি সামাল দিতে সহায়তা করেছিল বলে দাবি করেছেন সে দেশের কয়েকজন মনোবিজ্ঞানীরা।  






যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. নাসির গায়েমি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, জেনারেল ইউলিসিস এস গ্রান্ট, উইলিয়াম টিকামসা শেরম্যান, নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রসহ অনেক নেতাই তাদের মানসিক সমস্যার সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তারা মাঝে মধ্যে বিষণ্নতায়ও ভোগতেন।       






অধ্যাপক নাসির গায়েমি ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের মানসিক সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, ভারতের মহাত্মা গান্ধিসহ অনেক ঐতিহাসিক নেতারা মানসিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তারা সফল হয়েছিলেন বলে তার দাবি।  






আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পেশাদার অনুশীলন প্রকল্পের প্রধান ক্যাথেরিন নরডাল বলেন,‘ওইসব মানসিক সমস্যার মধ্যে কিছু আছে যা ভালো কিছুতে ভূমিকা রাখে।’   






গায়েমি বলেন, ‘কিছু মানুষের মানসিক সমস্যা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশংসনীয়।’






এ ইস্যু নিয়ে একটি বইও লিখেছেন গায়েমি। তার বইয়ের নাম ‘এ ফার্স্ট রেট ম্যাডনেস: আনকভারিং দ্য লিঙ্কস বিটুইন লিডারশিপ অ্যান্ড মেন্টাল ইলনেস’। বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে এই বই লিখতে গিয়ে তিনি মেডিকেল এবং ঐতিহাসিক রেকর্ড বিশ্লেষণ করেছেন।  






গায়েমি বলেন, ‘বিষণ্নতায় আক্রান্ত অধিকাংশ ব্যক্তিরা অধিক মাত্রায় সৃজনশীল, সহানুভূতিশীল, বাস্তববাদী হয়ে থাকেন। তারা সঙ্কটময় মুহূর্তে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হন। কিন্তু শান্তি ও সমৃদ্ধি থাকাকালে সফলতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন।   






দুজন নেতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শেরম্যান গুরুতর বিষণ্নতায় ভুগেছিলেন। জনশ্রুতি আছে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। জেনারেল জর্জ ম্যাকক্লেলান মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। কিন্তু জটিল পরিস্থিতিতে তিনি সফল জেনারেল ছিলেন না। গ্রান্ট প্রচুর পরিমানে মদ পান করতেন কিন্তু যুদ্ধের সময় তিনি পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে শান্ত অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ভালো করেননি।






গায়েমি আরও বলেন, ‘উইনস্টন চার্চিলও দীর্ঘমেয়াদি মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। তিনি এ বিষয়ে খোলামেলা ছিলেন। তার এই মানসিক অসুস্থতার বিষয়টিকে তিনি ‘ব্ল্যাক ডগ’ বলে সম্বোধন করতেন। যুদ্ধকালীন সঙ্কটে চার্চিল ব্যাপক পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।    






(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/এসআই/এআর /ঘ.)