কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাশের একটি ছাত্রী নিবাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় কুবির দগ্ধ ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিসাসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ৬ ছাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় থানার এসআই শহিদুল বাশার বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৯ম ব্যাচের ২য় বর্ষের ছাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামের আবুল হাসানের মেয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ ফাহমিদা হাসান নিশা, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্রী, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার পেরুল গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে মর্জিনা বেগম এবং আইসিটি বিভাগের ৮ম ব্যাচের ছাত্রী ঢাকার রায়েরবাগের নুর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুন নাহারসহ ৬ জন।
এদিকে মামলা দায়ের করার পরই গত মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা ৬ ছাত্রীর মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত মর্জিনা ও নুরুন নাহারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে অপর ৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে এখনো দগ্ধ নিসা ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে রয়েছে বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সালমানপুর এলাকার মনিরুল ইসলাম মৃধার ‘প্রশান্তি’ নামের ভবনের হেভেন নামের একটি ছাত্রী নিবাসে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৬টার দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই ছাত্রীনিবাসের নিচতলার একটি কক্ষের দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে ওই কক্ষে থাকা ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিসার শ্বাসনালীসহ তার শরীরের ৪৫ভাগ দগ্ধ হয়। মামলায় ওই ছাত্রী নিবাসের বাসিন্দা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিশা, মর্জিনা বেগম এবং নুরুন নাহারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ ছাত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘ছাত্রীনিবাসের ২টি কক্ষ থেকে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার লিফলেট, জামায়াত-শিবির ও মওদুদির লেখা বিভিন্ন বই উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিস্ফোরণে দগ্ধ ছাত্রী ফাহমিদা হাসান নিশা ও তার বান্ধবী মর্জিনা বেগম ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্য। বিস্ফোরণের সাথে ছাত্রীদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, ক্রাইমসিন টিমের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিষ্ফোরণের কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/প্রতিনিধি/ইএস)