পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়: আমু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:১০:১৪

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্পখাতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ক ‘১৭তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন. ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ডা. আদার্শ সোআইকা, এফবিসিসিআই’র প্রথম সহসভাপতি মো. শফিউল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও বিকেএমইএ’র এবং প্রথম সহসভাপতি এ এইচ আসলাম সানি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনে দুর্ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিরা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। সরকারের নীতি সহায়তা, উদ্যোক্তাদের সাহস এবং দক্ষ শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি পোশাকশিল্প কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম নিরাপত্তা জোরদার, পেশাগত ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও কারখানা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশে তৈরিপোশাক শিল্প দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রথম এবং গোটা পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। বর্তমানে এ শিল্পখাত থেকে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি রপ্তানি হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তৈরিপোশাক শিল্পখাতের রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এই প্রদর্শনী আজ থেকে শুরু হয়ে ৩রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এতে বিশ্বের ২৩টি দেশের ১ হাজার ৫০টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। এসব কোম্পানি তৈরিপোশাক শিল্পখাতে উদ্ভাবিত সর্বশেষ প্রযুক্তি, ফেব্রিক্স, ডাইং ও কেমিক্যাল প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ১২ বছর বয়সোর্ধ্ব সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর ফলে বাংলাদেশে তৈরিপোশাক শিল্পখাতে আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/৩১ আগস্ট/এইচআর/এমআর)