logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়ার বাধা কাটল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
৩১ আগস্ট, ২০১৬ ১৯:৩৫:২৭
image



মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হতে আর কোনো বাধা নেই। বুধবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়ার পর এই বাধা কেটে যায়। এর ফলে গ্রামীণফোনের পরে এটাই হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটর।






একীভূত হওয়ার পর রবি ও এয়ারটেলের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়াবে চার কোটির বেশি, যা বাংলাদেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ। পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে সবার উপরে আছে গ্রামীণফোন।






দুই কোম্পানির গ্রাহকরা এখন থেকে ‘রবি’ গ্রাহক হিসেবে পরিচিত হবেন। একীভূত কোম্পানিতে রবির ৭৫ শতাংশ আর এয়ারটেলের ২৫ মালিকানা থাকবে।






একীভূত হওয়ার ফি হিসেবে রবিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ৬০৭ কোটি টাকা দিতে হবে। এর মধ্যে তরঙ্গ ফি হিসেবে ৫০৭ কোটি টাকা ও একীভূতকরণ ফি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দিতে হবে।






এই অর্থ কীভাবে বিটিআরসি রবির কাছ থেকে নেবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আদালত বিটিআরসির ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-​ই রাকীব। রবি-এয়ারটেলের পক্ষে ছিলেন তানজিব-উল আলম। এয়ারটেলের কর্মীদের পক্ষে ছিলেন সাদ সামি আহমেদ।






একীভূত হওয়ার বিষয়ে আদালতের সম্মতি দেয়ার পর পর খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, “এয়ারটেলের কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা রয়েছে। সেই পাওনা পরিশোধের সাপেক্ষে হাই কোর্ট মার্জার অনুমোদন করেছে। মার্জার স্কিম অনুসারে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।”






দুই কোম্পানিতে এখন যারা কাজ করছেন, সরকারের শর্ত অনুসারে তাদের প্রত্যেককে নতুন কোম্পানিতে নিতে হবে। কেউ নতুন কোম্পানিতে যেতে না চাইলে ‘ভলান্টারি রিকোয়ারমেন্ট স্কিমের’ মাধ্যমে কোম্পানি থেকে চলে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।






আদালত আদেশের অনুলিপি পাওয়ার এক মাসের মধ্যে প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো শেষ করতে হবে।






মোবাইল ও টেলিযোগাযোগ সেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তরঙ্গ। বর্তমানে এয়ারটেলের কাছে ২০ মেগাহার্টজ আর রবির কাছে আছে ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ। দুটি প্রতিষ্ঠানের মোট তরঙ্গের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ। বর্তমানে গ্রামীণফোনের কাছে সর্বোচ্চ ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ আছে। উন্নত মানের ভয়েস কল, দ্রুতগতির ইন্টারনেট থেকে শুরু করে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবা দেওয়ার জন্য তরঙ্গ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।






দুই অপারেটরের ব্যবসা একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর তা বিটিআরসিকে জানানো হয়। এ নিয়ে শুনানি করে বিটিআরসি কয়েকটি সুপারিশসহ মূল্যায়ন পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে।






সুপারিশে বলা হয়, এয়ারটেল তাদের থ্রিজি লাইসেন্সের মেয়াদ, অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে পারবে না।






রবির মালিকানা মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপের। অন্যদিকে এয়ারটেলের মালিক ভারতের ভারতি এয়ারটেল; তারা ওয়ারিদের ব্যবসা বাংলাদেশে কিনে নিয়েছিল।






(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এমআর)