logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা
সুপ্রিমকোর্টে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ রায় বাংলায় প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:৪৬:৪২
image



আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে বাংলায়। বুধবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে এ রায় প্রকাশ করা হয়। ১৮২ পৃষ্ঠার রায়টি বাংলায় প্রকাশ করা হয়। বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ রায়টি লিখেছেন। এ রায়ের সঙ্গে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান একমত প্রকাশ করেছেন।  






সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলনের জন্য সরকারের উদ্যোগ থাকলেও সর্বোচ্চ আদালতে খুব বেশি রায় বাংলায় আসেনি। তবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এ বিষয়টিতে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হবে।






এর আগে তত্ত্বাবধায় সরকারব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে সাবেক প্রধান বিচাপতি খায়রুল হক যে রায় দিয়েছিলেন তা ছিল বাংলায়। 






সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এর আগেও বাংলায় বেশ কিছু রায় দেয়া হয়েছে, আমিও বাংলায় বেশ কিছু রায় দিয়েছি। আসলে হাইকোর্টের প্রায় সব রায়ই বাংলায় দেয়া সম্ভব।’






আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় গত ১৫ জুন এ মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। হত্যা মামলার এ রায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। অপরদিকে ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়।






হাইকোর্ট থেকে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু, মাহবুবুর রহমান, কানা হাফিজ, সোহাগ, শহিদুল ইসলাম শিপু।






যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামি হলেন, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আহমদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন আনু, বড় রতন, ছোট জাহাঙ্গীর, আব্দুস সালাম, মশিউর মিশু। অন্যদের খালাস দেয়া হয়েছে।






হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।






 মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে খুন হন ওমর ফারুক রতন নামে আরেকজন।






মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।






জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি আহসান উল্লাহ মাস্টারের মৃত্যুর পর এখন তার ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল ওই আসনের সংসদ সদস্য। 






ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।






 তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন।






এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়, খালাস পান অন্য দুজন।






(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এমএবি/জেবি)