ঈদের টানা ছয় দিন ছুটির পর আজ খুলেছে সরকারি অফিস-আদালত-ব্যাংক বিমা। কাল শুক্রবার এবং পরের দিন শনিবারও সাপ্তাহিক ছুটি। দীর্ঘ টানা বন্ধের মাঝ খানের দিনটি আজ (বৃহস্পতিবার) খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আজ রাজধানীর মতিঝিল পাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী, ডাচ-বাংলা ও জনতা ব্যাংক ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। রাস্তার গাড়ির চাপ বলতে গেলে ছিলই না। সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস ও সঞ্চয়পত্র শাখা ছাড়া প্রায় সব কাউন্টারই ছিল ফাঁকা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মেডিকেল সেন্টারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার ব্যাংকের গেট খোললেও টানা ছয় দিনের ছুটি শেষে অনেককে ভিতরে ঢুকেতে দেখা গেছে দেরি করে। গ্রাহক না থাকায় স্টাফদেরকে অলস সময় পার করতে দেখা যায়। প্রায় ডেস্কই ছিল ফাঁকা। যারা অফিসে এসেছে তাদেরকে কুশল বিনিময় করেই সময় পার করতে হয়েছে।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের গিয়ে সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন এবং ডিপিএস শাখায় দীর্ঘ লাইন চোখে পড়লো। অন্য কাউন্টারগুলো ছিল প্রায় ফাঁকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিসপেনসারি বিভাগে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ডাক্তারদেরকে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। প্রতি ডাক্তারের চেম্বারে সামনে ছিল রোগীদের লাইন। তবে অন্য বিভাগে স্টাফদের উপস্থিতি থাকলেও ছিল ঢিলে-ঢালা ভাব।
মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের এসপিও মৃদুল কান্তি মদক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের কার্যালয়ে উপস্থিতি ভালই। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে যারা আজকে ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন তারা ছাড়া মোটামুটি সকলেই উপস্থিত আছেন। আমাদের কাজের কোন ব্যাঘাত ঘটছে না, গ্রহকদের শতভাগ সেবা প্রদান করছি।’
মৃদুল কান্তি বলেন, ‘আজ তেমন একটা ভিড় নেই গ্রাহকের। ভিড় যেটুকু আছে তার বেশির ভাগই সঞ্চয় পত্রের টাকা উত্তোলন ও ডিপিএসের টাকা জমা দেওয়ার জন্যই।’
মতিঝিলের ডাচবাংলা ফরেন এক্সচেঞ্জ ব্রাঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত থাকলেও গ্রাহক না থাকায় তারা অলস সময় পার করছেন। ম্যানেজার ছুটিতে থাকায় এই ব্রাঞ্চের দায়িত্ব পালন করছেন ফার্স্ট এ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেডিডেন্ট তারিক কাদের সামছুদ্দিন। ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের শাখায় গ্রাহক প্রচুর। তবে ঈদের পরে প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। তবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি ভালো। কিছু কর্মকর্তা কর্মচারী ঈদের ছুটির সঙ্গে আজকের দিনটি ঐচ্ছিক ছুটি হিসাবে নিয়েছেন।
ঈদের আগে ১১ সেপ্টেম্বর বিশেষ বিবেচনায় ছুটি ঘোষণা এবং তার আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, ঈদের তিন দিন ছুটি সব মিলিয়ে টানা ছয় দিন ছুটি পায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপরও অনেকেই বৃহস্পতিবার এক দিনের ছুটি নিয়েছেন, ফলে তাদের অফিস শুরু হবে রবিবার থেকে। ১১ সেপ্টেম্বরের অফিস করতে হবে তাদের আগামী ২৪ তারিখ।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/জিএম/এআর/ঘ.)