ঢালিউডের `বাদশাহ’ বলা হতো সালমান শাহ্কে। এ মহানায়কের প্রয়াণে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তা আর কাটাতে পারেনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প।
শুধু দেশেই নয়, বলিউডের বাদশা শাহরুখও ঢালিউডের সালমানে দেখেছিলেন অত্যুজ্জ্বল সম্ভাবনা। ঢালিউডের বাদশাহ সালমানকে সস্ত্রীক দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ওপারে। সেবার সালমান শাহকে দেখিয়ে শাখরুখ স্ত্রী গৌরীকে বলেছিলেন- ‘দেখো গৌরী, উনি বাংলাদেশের ফিল্মের কান্ডারী।’
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই বরপুত্রের জন্মদিন ছিল গত ১৯ সেপ্টেম্বর। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জসিম ফ্লোরে তার ৪৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সালমান শাহ্ স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় উঠে আসে উপরের কথাগুলো।
সালমান শাহ্ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এস এম শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সালমান শাহর প্রথম ছবির স্মৃতিচারণা করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে সালমান শাহ্ যে অসামান্য অভিনয় করেন, দেশের তরুণ ভক্তরা আজও তা ভুলতে পারেনি। তিনি প্রথম ছবিতেই এলেন, দেখলেন ও জয় করলেন। কিন্তু চলে গেলেন খুব দ্রুতই, যা বড় বেদনার।’
সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত ছিলেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি। তিনি সালমান শাহর স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, ‘বর্তমান তরুণসমাজ অনেকেই সালমানের মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছে। কে খুন করেছে জানি না। যে বা যারা বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনকে এত বড় ক্ষতি করল, তাকে বা তাদের কি বিচার হবে না?’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, প্রযোজক ও পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জেমী, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাশেদ মোর্শেদ, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউটিনিটি অব বাংলাদেশের (ট্রাব) সভাপতি সালাম মাহমুদ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রায় সব বক্তা সালমান শাহর হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একসময়ের রোমান্টিক যুবরাজ আজও বেঁচে আছেন দর্শকের মনে। জেগে আছেন তরুণ-তরুণীর স্মৃতিচারণায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে একটি স্মৃতিফলক ও ফ্লোরের নামকরণ সালমান শাহর নামে করার দাবি জানানো হয়।