‘আয়নাবাজিতে হৃদি চরিত্রের যে রেশ, আমি ওটার মধ্যে থাকতে চেয়েছি। পরিচালকও আমার সেই আন্তরিকতাটা চেয়েছেন। আমি স্টুডেন্ট হিসেবে কখনো ভালো ছিলাম না, কিন্তু সিনসিয়ার ছিলাম, আমি আমার সেরাটা দিতে প্রস্তুত এবং দিয়েছিও সেখানে।’ ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপে বলছিলেন মডেল, উপস্থাপক ও অভিনয়শিল্পী মাসুমা রহমান নাবিলা।
আজই বড়পর্দায় অভিষেক হচ্ছে ছোটপর্দার এই তারকার। মুক্তি পাচ্ছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র আয়নাবাজি। এতে হৃদি নামে মুখ্য একটি চরিত্রে আছেন নাবিলা। আয়নাবাজিতে কিভাবে যুক্ত হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আমাকে ফোন করে ডাকা হলো, সেসময় শুনলাম অমিতাভ রেজা এই ফিল্মটি করবেন। সেদিন আর তেমন কিছু বলেনি, শুধু স্ক্রিন টেস্ট হয়েছে। সেখান থেকে চলে আসি। তারপর এক মাস আর তাদের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমিও নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি, সেজন্য আমিও কোনো যোগাযোগ করিনি। এক বা দেড় মাস পর তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন আমি বুঝতে পারি তারা আমাকে নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবছে।’
আয়নাবাজির হৃদি একটি সাধারণ মেয়ে। তার মধ্যে কৌতূহল খুব বেশি। এ কারণেই সে এক সময় বাসাবদল করে পুরান ঢাকায় নিজের অন্য একটি বাড়িতে চলে আসে। পুরান ঢাকার বাড়িতে থাকতে থাকতে তার সঙ্গে পরিচয় হয় হয় আয়নার। তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়, এভাবেই এগুতে থাকে সিনেমার গল্প। কাহিনির এর বেশি বলতে চান না নাবিলা। সিনেমাপ্রেমীরা আয়নাবাজি দেখতে হলে ছুটে যাবেন, এই প্রত্যাশা তার।
ছোটপর্দার উপস্থাপক হিসেবেই প্রথম আলোচনায় আসেন নাবিলা। সেভাবে কী আর পাওয়া যাবে না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উপস্থাপনাতো অবশ্যই করব। কারণ আমার নিজের ভালোলাগার জায়গাও সেটা, তাই আমাকে সব সময় উপস্থাপনায় পাবেন। ’