বাজারে খুব কম দেখা মেলে ফলটির। দেখতে ছোট আকারের কাঁঠালের মতো। নাম চাম্বল। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, ভালুকা ও ফুলবাড়িয়ায় বনাঞ্চল একসময় পূর্ণ ছিল এই টক স্বাদের ফলের গাছে। এখন আর সেভাবে চোখে পড়ে না।
নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত হাজার হাজার চাম্বলগাছ ছিল এসব বনে। সারি সারি চাম্বলগাছ দৃষ্টি আকর্ষণ করত পর্যটকদের। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পাকা চাম্বল ফলে ভরে যেত গাছ। অনেক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হতো এই ফল সংগ্রহ করে। দীর্ঘস্থায়িত্বের বিবেচনায় চাম্বল কাঠের ব্যাপক কদর আসবাব নির্মাণে।
কিন্তু চলমান শতকের গোড়ার দিক থেকে হারাতে থাকে এই দেশীয় ফল। কাঠ চোরচক্রের কবলে পড়ে ধ্বংস হতে থাকে চাম্বলগাছ। তবে মুক্তাগাছার রসুলপুর বনে এখনো কিছু চাম্বলগাছ চোখে পড়ে। অনেকে ফল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতে আনেন। প্রতিটি চাম্বল ফল আকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হয়। চাম্বলের বিচি খেতে বাদামের মতো, খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
বনের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় চাম্বল সংরক্ষণ এবং নতুন বাগান সৃজনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন অভিজ্ঞমহল। তা না হলে অচিরেই হারিয়ে যাবে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় গাছটি।