চেন্নাইয়ের এক চিড়িয়াখানা থেকে সাদা বাঘটাকে আনা হয়েছিল উদয়পুর। কিন্তু আনার পর দেখা দিল মহাবিপদ। রামা নামের সেই সাদা বাঘ তার কেয়ার টেকারের কোন কথা শোনে না। বাঘ খায় না, নড়াচড়া করতে চায় না।
মানে কোন সাড়া নেই। সমস্যা কি? খোঁজ করতে গিয়ে জানা গেল সাদা বাঘের আগের ট্রেইনার ছিল চেন্নাইয়ের স্থানীয়। তিনি তামিলে কথা বলতেন। এখনকার যে কেয়ারটেকার তিনি কথা বলেন মেওয়াড়িতে। এখন মুশকিল হল রামাতো সেই ভাষা বোঝে না। সে বোঝে খালি তামিল। সে সাড়াও দেয় না।
ভিন্ন ভাষার মানুষে মানুষে যোগাযোগে সমস্যা হয় এতো নতুন কিছু না। তাই বলে বাঘ নিয়েও সেই একইরকম সমস্যা যে হতে পারে সেটা কারো মাথাতেই আসেনি। বিষয়টা এখন এমন দাঁড়িয়েছে, হয় রামাকে শিখতে হবে মেওয়াড়ি, নয়তো তার নতুন কেয়ারটেকারকে বলতে হবে তামিল।
এক এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় আরিগনা আন্না জুওলজিকাল পার্ক থেকে পাঁচ বছর বয়সী রামা আর তার দুই নেকড়ে বন্ধুকে আনা হয়েছে সাজ্জাননাগার বায়োলজিকাল পার্কে। উদ্দেশ্য সাদা বাঘ দেখিয়ে আরো দর্শানার্থীকে আকৃষ্ট করা। কিন্তু সে আসার গুড়েবালি। বরং এখন বাঘ বাচানোই দায় হয়ে দাড়িয়েছে। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই থেকে রামার আগের কেয়ারটেকারকেই ধরে বেঁধে নিয়ে এসেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। ঠেকার কাজটুকু আপাতত তাকে দিয়েই চালাতে চাইছেন তারা।
তবে শুধু দর্শক বাড়ানোই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য নয়। এর পেছনে রয়েছে আরো বড় দুরভিসন্ধী। দামিনী নামে একটি নি:সঙ্গ সাদা বাঘিনী আগে থেকেই এ চিড়িয়াখানায় রয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ চাইছে রামাকে দামিনীর সাথে বিয়ে দিয়ে জামাই করে রাখতে। তাতে বছর খানেকের মধ্যেই ঘর আলো করে আসবে নতুন নতুন মুখ। সাদা বাঘের মতন দুর্লভ প্রজাতীর বংশবিস্তারে যাতে কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য দরকার হলে বাঘকেও মেওয়াড়ি ভাষা শেখাতে বদ্ধপরিকর সাজ্জাননাগারের লোকজন।