বেঞ্চ মানেই স্কুলে সারি সারি করে পাতা। কখনও পা ভাঙা, পেরেক বের করা, কখনও বাহুল্যহীন সাদামাটা। আবার বাসস্ট্যান্ডে বা স্টেশনে হলে বাঁধানো বসার জায়গা। এমন সাধারণ বেঞ্চ দেখেই অভ্যস্ত আমরা। কিন্তু বেঞ্চেও এতটা নতুনত্ব থাকে? না দেখলে বিশ্বাস হবে না।
অস্ট্রিয়ার ভকলাব্রুকের একটি পার্ক। সেখানে লেকের মাঝখানে বসেও গল্প করা যায়। গায়ে এক ফোটাও পানি লাগবে না গায়ে।
ইংল্যান্ডের নিউক্যাসেলের ব্লু কার্পেট। সেখাতে পাতা আছে আজব বেঞ্চ। দেখে মনে হবে যেন কার্পেটের মাঝখানের একটা অংশ তুলে নিয়ে বেঞ্চ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও আছে বৃষ্টির পর বসার জন্য আজব বেঞ্চ। যেখানে বৃষ্টির পরেও দিব্যি বসতে পারবেন। এতটুকুও ভিজবে
না জামাকাপড। এই বেঞ্চের পাশে আছে একটি হাতল। ভিজে যাওয়ার পর শুধু একবার হাতলটি ধরে ঘোরাতে হবে বেঞ্চটি। শুকনো বেঞ্চ চলে আসবে সামনে।
ইউক্রেনের রাস্তায় আজব একটি বেঞ্চ আছে। যেন দুটি হাত পেতে যত্ন করে পেতে রেখেছে আপনার বসার আসনটি।
পোল্যান্ডের পাপ্রোক্যানি লেকের ধারে মানুষের রিল্যাক্সের জন্য রয়েছে এমনই আরামদায়ক বসার জায়গা। জালের ওপর দিব্যি গা এলিয়ে দিন। আর সান বাথ নিন।
ম্যাসাচুসেস্টসের একটি পার্কে রয়েছে অভিনব বেঞ্চ। রাতের বেলায় তাতে আলোও জ্বলে। ইচ্ছে হলে বইও পড়তে পারেন এই বেঞ্চে বসে। লুক্সেমবার্গের ফ্লাইওভারের নিচের অংশ বদলে গিয়েছে ডিজাইনার বেঞ্চে। তিমির লেজের উপর বসতে চান? নাহ! আসল তিমি নয়। শখ মেটাতে না হয় নকল তিমির লেজের ওপরেই বসলেন।
ইউক্রেনের কালার পেন্সিল বেঞ্চ।লন্ডনের পার্কে রাখা একটি বই। তবে পড়ার নয়, বসার।অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটিতে রয়েছে ঢেউ খেলানো বেঞ্চ।