প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১০:০৪:০৬আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১০:৩৫:১৩
ময়মনসিংহে হারাচ্ছে মূল্যবান ভেষজ ধুতরা
মনোনেশ দাস, ঢাকাটাইমস
ময়মনসিংহে সর্বত্র গ্রামবাংলার ঝোপ-ঝাড়ে যে গাছটিকে ভয় বিষের চেয়েও কম নয় এর নাম ‘ধুতুরা’। এ গাছ খেলে মানুষ অজ্ঞান ও পাগল হয়- তা কারো অজানা নয়এ
জানা যায়, এর বৈজ্ঞানিক নাম ধুতুরা মিটিল। ধুতুরার ট্রোপেন এলকালোডিস নামের বিষক্রিয়ায় মানুষ বা পশুপাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ধুতুরা মূলত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গ্রামাঞ্চলের ঝাড়-জঙ্গলে কয়েক কদম হাঁটলে হয়তো এর দেখা পাওয়া যাবে।
আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য চিরঞ্জীব বনৌষধিতে ধুতুরার ফুল, ফল, পাতা, কা-, মূল সবই বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন। এর বীজ থেকে চেতনানাশক পদার্থ তৈরি করা হয়। এর সাধারণ গুণ কটুরস, উষ্ণবীর্য, মূর্ছাকারক, ভ্রমকারক, নিদ্রাকারক, বায়ুবর্ধক, ক্লান্তিবর্ধক, বেদনানাশক, মূত্রকর এবং জ্বর, কাশ, শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, পাঁচড়া, ব্রননাশক।
১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথিকে হ্যানিমান পাকা ধুতুরা ফলের বীজ থেকে টিংচার প্রস্তুতের মাধ্যমে সুপরীক্ষিত ওষুধ তৈরি করেন। এই ওষুধ উন্মাদ রোগেই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চৈনিক ভেষজ চিকিৎসায় পঞ্চাশটি প্রধান উদ্ভিদের একটি ধুতুরা।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভেষজ চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান, লোকালয়ের ঝোপ-ঝাড় ধ্বংস করে আবাদী জমি তৈরির ফলে অন্যান্য মূল্যবান গাছের মত ধুতুরাও হারিয়ে যেতে বসেছে।