logo ০৬ মে ২০২৫
নিজ মন্ত্রণালয়ে অসফল, তাই অন্য মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ছিনতাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১২ অক্টোবর, ২০১৩ ১১:৪৫:০০
image


ঢাকা: নিজ মন্ত্রণালয়ে উল্লেখ করার মতো কোনো সাফল্য নেই। বরং তার ব্যর্থতাই সরকার ও সরকারের বাইরে সব সময়ই আলোচিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি গত প্রায় পাঁচ বছরে পাঁচশর বেশি দিন বিদেশ সফরে কাটিয়েছেন। এর আগেরও একবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাফল্যকে নিজের সাফল্য বলে চালিয়ে দিয়েছেন তিনি। আবারও একই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।



নবম জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম প্রতিবেদনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন তার নেতৃত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের লিবিয়া থেকে দেশে প্রত্যাবাসনে নেতৃত্ব দেয়। অথচ প্রকৃত সত্য হল লিবিয়া থেকে মিশর ও তিউনিশিয়ায় আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। শুধু দেশে ফিরিয়ে আনাই নয় তাদেরকে বিমানবন্দরে গ্রহণ, প্রত্যেককে নিজ বাড়িতে প্রেরণসহ সব কাজই করেছে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এমনকি তাদের পুনর্বাসনে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্প সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। যা নিয়ে বিশ্বব্যাংক ভূয়সীপ্রশংসাও করে।



খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ৮০ ভাগ কর্মী আশ্রয় নেয় তিউনিশিয়ায়। আর ২০ ভাগ মিশরে। তিউনিশয়ায় যারা আশ্রয় নিয়েছিলেন তাদের সরিয়ে নেয়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। আর মিশরে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশিদের সরিয়ে দেয়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া বাকি সব কাজের নেতৃত্বে ছিল প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এগুলোকে নিজের সাফল্য বলে দাবি করেছেন।



সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, স্বামী তৌফিক নেওয়াজের সঙ্গে মতানৈক্যের প্রতিশোধ নিতেই গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন দীপু মনি। যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আধা বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যা সরকারের অনেকেই ভাল চোখে দেখেননি।



এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম কবির ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না। ডিজি কনস্যুলার এ বিষয়ে বলতে পারেন।’



(ঢাকাটাইমস/ ৩১ অক্টোবর/ এইচএফ/ ১১.২১ঘ.)