দুই-একদিনের মধ্যে বাসায় ফিরছেন এরশাদ
হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস
২০ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১০:৩৯:২০

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুই-একদিনের মধ্যে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, এরশাদের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভাল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এখন হাসপাতালের ছাড়পত্র পেলেই বাসায় ফিরবেন তিনি। তবে দলের নেতাদের দাবি, শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে সরকার ইচ্ছেকৃতভাবে এরশাদকে হাসপাতালে ভর্তির নামে কৌশলে আটক করে রেখেছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে এরশাদের সঙ্গে সরকারের যে দেনদরবার চলছিল তা সুরাহার পথে রয়েছে। তাই এরশাদকে নির্বাচনের আগে চিকিৎসার নামে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা থেকে আপতত সরে এসেছে সরকার। এরশাদ প্রকাশ্যে এখনো নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণাতে অটল থাকলেও ভেতরে ভেতরে এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নমনীয় হয়ে এসেছেন।
এদিকে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই প্রকাশ্যে নির্বাচনে থাকার কথা বলেছেন। বৃহস্পতিবার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ঢাকায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণাও চালিয়েছেন। এসময় তিনি নির্বাচনে আছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। অথচ গত কয়েকদিন আগেও ফিরোজ রশিদ দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের ওপর অটল আছেন বলে জানিয়েছিলেন।
দলের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ও মুজিবুর হক চুন্নুসহ অন্যরাও সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ-সম্পর্ক রাখছেন।
সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়ার পর দলের এসব নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। এই অংশটি এরশাদের স্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের নেতৃত্বে চলছে। রওশন এরশাদ নিজেও নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন বলে জানা গেছে। তবে জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের এখনো এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপরই আস্থা রেখেছেন। যদিও বৃহস্পতিবারও রুহুল আমিন হাওলাদারের গুলশানের বাসভবনে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে। এছাড়া নিরাপত্তায় পুলিশ প্রহরাও ছিল বহাল তবিয়তে।
অন্যদিকে নির্বাচনকালীন সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলামের বাসাতেও জাতীয় পতাকা ও পুলিশ প্রহরা আছে। অথচ জাতীয় পার্টির মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপদেষ্টারা এরই মধ্যে নিজেদের পদত্যাগপত্র দলের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে এরশাদকে তার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা আটক করে সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে র্যাব দাবি করে, এরশাদ শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এর একদিন পরেই সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ এক বিবৃতিতে জানান, তিনি সুস্থ আছেন। তাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২০ ডিসেম্বর/এইচএফ/এজে/ঘ.)