logo ১২ মে ২০২৫
ডিসি-এসপি-ইউএনও-ওসি পদে রদবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৮ জানুয়ারি, ২০১৪ ১৭:৪৪:৪৩
image

ঢাকা: লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ কে এম মিজানুর রহমান, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম রোহেল ও যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব ভদ্রকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়।


এরই মধ্যে লক্ষ্মীপুরের ডিসিকে প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী কাজে অবহেলার কারণে তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।


এছাড়া নির্বাচনের সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পরিবর্তন করা হয়েছে বলে ইসির দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।


যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য খান টিপু সুলতানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসপি জয়দেব ভদ্রকে বদলি করা হয়েছে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম রোহেলকে বদলি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সচিব (উপ-সচিব) মো. এহছানে এলাহীকে গাইবান্ধার ডিসি করে বুধবার আলাদা আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।


লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক এ কে এম মিজানুর রহমানকেও বুধবার বদলির নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি গাইবান্ধা ও যশোর জেলা এসপি ও সুনামগঞ্জের দোয়ারা উপজেলার ওসিকে বদলির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


ইসি গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের আট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বদলি করেছে। তারা হলেন-কুড়িগ্রামের চিলমারী ইউএনও আশরাফুজ্জামান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের ইউএনও তোফাজ্জেল হোসেন, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ইউএনও সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, গাইবান্ধা, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্লাপুর ও গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও আহসান হাবীব, মামুন-উল-হাসান, মাহবুবুল হক, আহসান হাবীব ও আবু রাহা মো. আরীফ। 


উল্লেখ্য, বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর জেলার একটি আসনের ২১টি কেন্দ্র, গাইবান্ধার তিনটি আসনের ২০৬টি কেন্দ্র এবং যশোরের একটি আসনে ৬০টি কেন্দ্রে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত আছে। ভোটের সময় এসব জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।


ভোটে গোলযোগের পর গাইবান্ধার চারটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকেও বদলির নির্দেশ দিয়েছে ইসি। অন্যদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে লক্ষ্মীপুর জেলার ডিসিকে বদলি করা হয়।


সূত্র জানায়, এর আগে লক্ষ্মীপুরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সহিংসতা হয়েছে। পুনরায় নির্বাচন হলে জেলার নানা ধরনের সহিংসতা রোধে নতুন লোক নিয়োগ করতে চায় ইসি।


নির্বাচনের দিন গোলযোগের কারণে স্থগিত আটটি আসনের ৩৯২টি কেন্দ্রে ১৬ জানুয়ারি আবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


(ঢাকাটাইমস/০৮ জানুয়ারি/বিআই/এজে)