ঢাকা: জনপ্রশাসনে যে কয়জন পদস্থ কর্মকর্তার নেতিবাচক ভাবমূর্তি নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয় তার মধ্যে অন্যতম স্বাস্থ্য সচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন মিয়া। একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে তার সচিব পদ পাওয়া ছিল সত্যিই বিস্ময়কর।
এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষার পরিবর্তে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয় তখন নানা প্রশ্ন ওঠে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব হুমায়ূন কবির চাকরি ছেড়ে দেন। কিছুদিন আগে মেয়ের বিয়েতে যে রাজকীয় আয়োজন করেন তা রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দেয়।
প্রশাসনে ‘ম্যানেজ মাস্টার’ বলে খ্যাত নিয়াজউদ্দিন মিয়া অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্লাব সংশ্লিষ্ট অনেকে জানিয়েছেন যে, কাঁড়িকাঁড়ি টাকা খরচ করে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চলছে। বর্তমান সরকারের আমলে নিয়াজউদ্দিন মিয়া গৃহায়ন অধিদফতরের চেয়ারম্যান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ছিলেন।
প্রশাসনে তার বন্ধুরাই বলাবলি করেন মেধা ও দক্ষতা না থাকলেও এদেশে উচ্চপদ পেতে যত ধরনের গুণ দরকার তা সবটাই রয়েছে বর্তমান স্বাস্থ্য সচিবের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই তিনি সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ডাক্তার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের পদস্থ কর্মকর্তাদের বদলিতে একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এই সময়-এর সৌজন্যে