চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
চিনময় কর্মকার, পটুয়াখালী
২৫ এপ্রিল, ২০১৪ ১৯:৫৫:১৭

পটুয়াখালী: চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রতিদিন এর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার লিটু, সময় টিভির পটুয়াখালী প্রতিনিধি মনির হোসেন, যুগান্তর প্রতিনিধি জাফর খান এবং মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি জলিলসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।
শুক্রবার পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান আল মামুন বাদী হয়ে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বও ৪০/১৪। এর আগে একই অভিযোগে সঞ্জয় কুমার লিটু ও মনির হোসেনসহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে সড়ক বিভাগের এক কর্মচারী। ডায়েরি নম্বর ১০৪৩/১৪।
মামলার বিবরণ সুত্রে জানা গেছে, আসামি সঞ্জয় কুমার লিটু ও অন্য তিন সাংবাদিক মিলে দীর্ঘ দিন যাবত মামলার বাদীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনসহ চাকরিচ্যুত করার হুমকি প্রদান করেন তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উল্লেখিত আসামিরা নৈশ প্রহরীকে ধাক্কা দিয়ে জোর পুর্বক বাদীর বাসায় প্রবেশ করে।
এ সময় বাদীকে না পেয়ে তার স্ত্রী-ভাইসহ বাসায় থাকা অন্য লোকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে স্থান ত্যাগ করে। আধা ঘন্টার মাথায় অভিযুক্তরা মটর সাইকেল যোগে পটুয়াখালী সেতুর টোল প্লাজায় হাজির হয় এবং টোল প্লাজার অফিস কক্ষে বাদীকে খোঁজ করতে থাকে। এ সময় সড়ক বিভাগের উপস্থিত অন্যরা তাদের আচারণে বিচলিত হয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষের কাগজপত্র টেবিল থেকে নিচে ফেলে দেয় এবং ওই বিভাগের এক কর্মচারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে তিন হাজার টাকা ছিনতাই করে স্থান ত্যাগ করে।
এ দিকে পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের সহকারী আনিচুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সঞ্জয় কুমার লিটু, সময় টিভির প্রতিনিধি মনির হোসেন, যুগান্তর প্রতিনিধি জাফর খান এবং মাছরাঙ্গা টিভির প্রতিনিধি জলিলকে অভিযুক্ত করে একই দিনে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তাতে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, চাঁদা দাবি, ভয়ভীতিসহ একাধিক অভিযোগ রযেছে।
মামলার বাদী আরো জানান, ‘দীর্ঘ দিন থেকেই লিটু-মনির আমাকে তাদের পছন্দের স্থানে দেখা করতে বলে। কিন্তু আমি বলেছি যে, সব কথা অফিসে হবে। আপনারা অফিসে আসেন। তিনি আরো বলেন, আপনার হাতে অনেক আয়ের খাত আছে। কোন খাত থেকে আমাদের বিষয়টা মিটিয়ে দিলেই পারেন’। কিন্তু তাদের কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আজ এই পরিস্থিতি।
পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর আগের লিটু মনির অফিসে এসে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। যে বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
প্রসঙ্গত, উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারী কেলেঙ্কারি, মদ্যপ অবস্থায় মানুষের সাথে অশালীন আচরণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৫এপ্রিল/চিক/এমএম)