ফতুল্লা থানার ওসি মুন্সীগঞ্জে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১২ মে, ২০১৪ ১৫:৩০:০৩

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ওসি আকতার হোসেন মুন্সীগঞ্জে বদলি হয়ে আসছেন। নারায়নগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ আলোচিত ৭ অপহরণ ও হত্যার পর ফতুল্লা থানার ওই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহারকৃত ওই ওসি মুন্সীগঞ্জে বদলি হয়ে আসার আদেশ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের কাছে পৌঁছেছে। অন্যত্র হত্যা করে লাশ ফেলার ডাম্পিং জোন হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জে এমন একজন বিতর্কিত পুলিশ অফিসারের আগমনের খবরে স্থানীয় পুলিশসহ সুশীল সমাজে নানা গুঞ্জন ও অন্তোষ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুন্সীগঞ্জের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, অপরাধীরা মুন্সীগঞ্জকে লাশ ফেলার ডাম্পিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্যত্র খুন করে লাশ ফেলে যায় মুন্সীগঞ্জে। মুন্সীগঞ্জে এ পর্যন্ত অসংখ্য অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের কিছু দিন পরে অনেক লাশেরই পরিচয় পাওয়া গেছে নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা হিসেবে। আর ফতুল্লা থানা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সীমানা সংলগ্ন থানা।
আলোচিত নারায়নগঞ্জের ৭ হত্যার পর প্রত্যাহারকৃত ফতুল্লা থানার ওসি আকতার হোসেন মুন্সীগঞ্জে বদলি হয়ে আসলে পাশাপাশি থানার কারণে তার প্রভাব যেমন ফতুল্লা থেকে কমবেনা, তেমনি মুন্সীগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা অবনতি ছাড়া উন্নতি হবে না বলে দাবি ওই কর্মকর্তার।
নারায়ণগঞ্জের সদর, ফতুল্লা ও বন্দর থানাসহ এ অঞ্চলে ওসি আকতার হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছে। যার ফলে এ অঞ্চলের সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের সাথে আকতার হোসেনের একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। নারয়নগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত থাকাবস্থায় অবৈধ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ওসি আকতারের সাথে ওয়ারলেস অপরেটরের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পায়। সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট চক্রের সাথে বিশেষ সম্পর্ক থাকায় তাদের আশির্বাদে ও তদবিরে ওসি আকতার হোসেন পাশ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জে বদলি হয়ে আসছে বলে একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জের সচেতন মহলের ধারণা, ওসি আকতার হোসেন মুন্সীগঞ্জে যোগদান করলে এখানকার আইনশৃঙ্খলা মারাত্মক অবনতিসহ লাশ গুম-খুনের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। এ ছাড়া, ফতুল্লা থানায় থাকাবস্থায়ও মুন্সীগঞ্জের কতিপয় রাজনীতিবিদ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ওসি আকতারের গভীর সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ শে এপ্রিল নারায়নগঞ্জের সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ ব্যক্তি আপহরণ ও খুন হওয়ায় পর ফতুল্লা থানার ওসি আকতার হোসেন ও পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ ৩ কর্তকর্তাকে তরিৎ প্রত্যাহার করা হয়।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ রকম একটি আদেশের কপি রোববার সকালে পেয়েছি।
(ঢাকাটাইমস/১২মে/এমএম)