logo ৩০ এপ্রিল ২০২৫
এবারও শোক দিবসে খালেদার জন্মদিন
কিরণ সেখ, ঢাকাটাইমস
১৩ আগস্ট, ২০১৪ ২০:৪৫:৪০
image


ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী ১৫ আগস্ট জন্মদিন উৎযাপন করবেন। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শোকের মাসে আওয়ামী লীগ নেতারা সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের উৎসব পালন করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছিলেন।

কিন্তু  আওয়ামী লীগ নেতাদের এই আহবানে কোনো সাড়া মেলেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি নেতারা অন্যান্য বছরের মতো এবারও নানা কর্মসূচিতে দলের প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনের উৎসব পালনের ছক কষেছেন।



 



জানা গেছে, আগামী ১৫ আগস্ট বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনটি কেক কেটে, দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ, দোয়ামাহফিলসহ আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১৫ আগস্ট রাজধানী গুলশানস্থ চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মদিনের কেক কেটে দিবসের কর্মসূচির উদ্ধোধন করা হবে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা বেগম জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবেন।



 



এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৫ আগস্ট জুমার নামাজের পর বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে দুঃস্থদের মাঝে কাপড় বিতরণ করবেন ও জন্মদিনের কেক কাটবেন এবং বিকালে বেগম জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে বগুড়া নাজগার্ডেনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন। একই সাথে সারা দেশে বিএনপির জেলা কমিটিগুলোও খালেদা জিয়ার জন্মদিনকে ঘিরে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর আগে গত ১২ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বেগম জিয়া বোগাস জন্মদিন পালন করে জাতিকে বিভক্ত করতে চান। খালেদা মূলত জন্মদিন পালন করেন না। জন্মদিনের নামে তিনি নতুন পাকিস্তান সৃষ্টির শপথ করেন। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না বলেই জাতির শোকের দিনে বোগাস জন্মদিন পালন করে জাতিকে বিভক্ত করতে চান।



 





এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিরফোর ডটকমকে বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তার নিজের কথা বলেছেন। এটা তার নিজস্ব বিষয়। তবে হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একজন বড় ও উচ্চ মাপের নেতা। স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবদানও সবচেয়ে বেশী। তা আমরা অস্বীকার করি না।



 





আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া তার জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকবেন কি? এই প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, জন্মদিন বেগম খালেদা জিয়ার। তাই বেগম জিয়া জন্মদিন পালন করবেন কি করবেন না তা তার একান্ত নিজস্ব বিষয়। তাই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না।



 





একই বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিরফোর ডটকমকে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সবাই নির্মমভাবে নিহত হয়। তাই বলে কি এই দিন কারো জন্মদিন হবে না, বিশেষ কোন দিন কিংবা বিবাহ বার্ষিকী থাকতে পারে না? তারা কি তাদের বিশেষ দিনটি উদযাপন করবেন না? আর কেনোই বা করা যাবে না?



 





১৫ আগস্ট কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কি কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তা সিদ্ধান্ত নেবে চেয়ারপার্সনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়। আর সময় হলে আপনাদের সেটা জানিয়েও দেয়া হবে।



 





১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটি বাঙ্গালী জাতি শোক দিবস হিসাবে পালন করে। একই দিনে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার জন্মদিন পালন করেন। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিভিন্ন মহুলসহ সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ রয়েছে।



 





 (ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/কেএস/এআর/ .ঘ)