logo ০১ মে ২০২৫
ফের গেজেটেড-নন-গেজেটেড নিয়োগবিধি সংশোধন হচ্ছে
হাবিবুর রহমান, ঢাকাটাইসম
২২ আগস্ট, ২০১৪ ১৭:৫২:৩২
image

ঢাকা: বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা ও নন-গেজেটেড কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নে ছয় মাস পর আবারো সংশোধন করা হচ্ছে। তবে এ বিধিমালায় বেশ বিছু পরির্বতন আনা হচ্ছে।


চলতি বছরের ৬মার্চ প্রজ্ঞাপনটি গেজেট আকারের প্রকাশ করা হয়েছিল।


আগামী ২৭ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।


মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও নন-গেজেটেড কর্মচারি) নিয়োগ বিধিমালা, ২০০৬ সংশোধন করে বাংলাদেশ সচিবালয় ( ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও নন-গেজেটেড কর্মচারি) বিধিমালা ২০১৪ জারি করা হয়েছে।


২০১৩ সালের ৫ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা শতকার ৭০ ও মৌখিক পরীক্ষা শতকার ৩০ নম্বর নির্ধারণ করার নির্দেশ জারি করে।


এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা ও কর্মচারি ও নন-গেজেটেড কর্মচারি) নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ এর তফসিল-৩ ও ৬ সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।


গত বছরের ২২ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ সচিবালয় (ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা, নন-গেজেটেড কর্মচারি) নিয়োগ বিধিমালা,২০০৬ এর তফসিলভুক্ত “অফিস সহকারী” পদের নাম পরির্বতন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক করা হয়।


এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্যাডার বহির্ভুত গেজেটেড কর্মকর্তা-নন-গেজেটেড কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা ২০১৪ এর তফসিল-১ এর ক্রমিক ৮ বিলুপ্ত  ও সে অনুযায়ী ক্রমিক ৪ এর নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অংশ এবং তফসিল -৩ থেকে “অফিস সহকারী” শব্দ দুইটি বিলুপ্ত করে সংশোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।


এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধিমালা পরিক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় বিভাগীয় প্রার্থীদের বসয়সীমা শিথিলের বিষয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বিভাগ যে বয়সসীমা পর্যন্ত শিথিলযোগ্য রয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিয়োগ বিধি সংশোধনের সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুবিভাগ বর্ণিত বসয়সীমা ৪০ বছর বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে বিধিগত কোন বাধা নেই মর্মে মতামত প্রদাণ করা হয়।


৪র্থ ও ৩য় শ্রেণির পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৬ বছরের পরির্বতে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত রাখার সুপাশি করা হয়।একই সাথে এই পদে পদোন্নতির কোটা শতকরা ৩০-৪০ ভাগ করার সুপারিশ করা হয়।


সরকারি অফিসের বিদ্যমান পুরনো এম,এল,এস,এস, দপ্তরি এবং ডুপ্লিকেটিং মেশিন অপারেটর পদনাম তিনটি সংশোধন করার সুপারিশ করা হয়।


এই নিয়োগবিধি প্রণয়নের মাধ্যমে কর্মচারিদের পদোন্নতির পথ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পায়ঁতারা চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন।


কয়েকজন কর্মচারি অভিযোগ করেছেন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতির কোটা কমিয়ে সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে, যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা বলেন, যার যার পদোন্নতির কোটা বহাল রেখে বা বাড়িয়ে পদোন্নতি দিতে হবে। কারো কোট কমিয়ে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।


জানা গেছে, ২০০৬ সালের নিয়োগ বিধিমালা মতে চলতি মাসেই সচিবালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি পাওয়ার কথা। কিন্তু এই নিয়োগ বিধিমালাকে সংশোধন করে ‘প্রস্তাবিত সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩’ প্রণয়ন করে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কমিয়ে ফেলা হয়েছে দীর্ঘদিন কর্মরত কর্মচারিদের পদোন্নতির কোটা ও পদ। ফলে সকল মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকদের পদোন্নতি ২০ থেকে ২৫ বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। কেউ দীর্ঘদিন এক পদে কর্মরত থাকলেও চিরদিনের জন্য পদোন্নতি বঞ্চিত হচ্ছেন।


সচিবালয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সালাহ উদ্দীন ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘এটা প্রথম শ্রেণির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈষম্যমূলক আচরণ। আমাদের অধিকার খর্ব করতে তারা এই বিভ্রান্তিকর বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই বিধিমালা বাস্তবায়ন হওয়া মানেই আমাদের পদোন্নতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাওয়া।’


(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/ এইচআর/ জেডএ.)