ঢাকা: পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে ইন্টারনেট ট্রেডিং মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালনা পর্ষদ। এর মাধ্যেমে বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসে আইফোনের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দে লেনদেন করতে পারবে। অক্টোবর মাসের শেষ দিকে এ মেলা শুরু হবে। তবে মেলার ভেন্যু এখনোও নির্ধারণ করা হয়নি। ভেন্যু নির্ধারণের কার্যক্রম চলছে।
সোমবার সিএসইর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাজিদ হোসেন একথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাজিদ হোসেন বলেন, মেলায় দর্শনার্থীরা ইন্টারনেট ট্রেডিং সিস্টেমের (আইটিএস) মাধ্যমে সরাসরি লেনদেন দেখা ও এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। মেলায় দর্শনার্থীরা স্মার্ট ফোন, আইপ্যাড অথবা ল্যাপটপের মাধ্যমে সিএসইসি'র টিম আইটিএস ট্রেডিং হাতে-কলমে দেখতে পারবেন। আইটিএস মেলায় সিএসই'র ট্রেকহোল্ডার, বিভিন্ন আইটি কোম্পানি ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে।
পুঁজিবাজার সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়াতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লে¬খ করে তিনি বলেন, দেশব্যাপী এ প্রচারণা ছড়িয়ে দিতে হবে। এর ফলে শেয়ারবাজার সম্পর্কে সবাই জানতে পারবেন। ইনভেস্টর অ্যাওয়ারনেসের জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না। কারণ, সরকারের একার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠানটির কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সিএসইর কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সিএসইর পক্ষ থেকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে তা পুনরায় সচল করা যেতে পারে।
নতুন সূচক চালুর বিষয়ে সৈয়দ সাজিদ বলেন, ‘শিগগিরই নতুন তিনটি সূচক চালু করতে যাচ্ছে সিএসই। সূচক তিনটি হলো- শরিয়াহ ইনডেক্স, আইপিও ইনডেক্স ও বেঞ্চমার্ক ইনডেক্স। আগামী অক্টোবরের শেষের দিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) সূচকগুলো চালুর বিষয়ে অবহিত করব। নভেম্বরের মধ্যে তা চালু করা হবে। এ লক্ষে সিএসই’র সব রকম প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো আরও সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সরাসরি বিনিয়োগ না করে যদি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ম্যানেজমেন্ট (বিআইসিএম) প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে এই প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেনি।
সাজিদ হোসেন বলেন, ক্লিয়ারিং করপোরেশন চালু করার জন্য বিএসইসির কাছে একটি রোডম্যাপ চেয়েছে সিএসই। পুঁজিবাজারে নতুন প্রোডাক্ট হিসাবে ডেরিভেটিভস মার্কেট চালু করবে সিএসই। তবে তার আগে ক্লিয়ারিং করপোরেশন চালু করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ‘সিএসই বিদেশি কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজছে। অনেকভাবেই কৌশলগত বিনিয়োগকারী আসতে পারে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে নেবে সিএসই। আশা করি সিএসই ও বিনিয়োগকারী উভয়ই উপকৃত হবেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫সেপ্টেম্বর/আরএম/এমআর)