logo ০৯ মে ২০২৫
জার্মান মিডিয়ায় বর্ণবাদ!
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১১ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:৪৩:২৬
image

ঢাকা: ৯ আগস্ট রাত, নিরস্ত্র মাইকেল ব্রাউন নিহত হন পুলিশের গুলিতে৷ পুলিশ শ্বেতাঙ্গ আর ১৮ বছরের মাইকেল কৃষ্ণাঙ্গ৷ ব্রাউন বর্ণবাদের বলি হয়েছেন, এ অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আসছেন কৃষ্ণাঙ্গ-অধ্যুষিত ওই এলাকার বাসিন্দারা৷


এর আগে সাদা পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিসুরি রাজ্যের শহর ফার্গুসন৷ ঐ ঘটনার পর সেদেশে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বর্ণবাদ৷ ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা বিতর্ক হচ্ছে এ নিয়ে৷


মিডিয়ার এ ধরনের সংবাদ ও প্রতিবেদনগুলি দর্শকদের কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, ফার্গুসনের এই ঘটনায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মনে করেন আফ্রো অ্যামেরিকান তরুণ টেলর অ্যাটকিন্স৷ তিনি তাঁর টুইটারে জানিয়েছেন, কীভাবে গণমাধ্যমে মাইকেল ব্রাউনকে উপস্থাপিত করা হয়৷ মাইকেলের প্রতিবেদনে এমন ছবি দেয়া হয়েছে যাতে তাঁকে একটি গুন্ডা দলের সদস্য হিসেবে মনে হতে পারে অচিরেই৷


অ্যাটকিন্স নিজের দু'ধরনের ছবি পোস্ট' করেছেন #হ্যাশট্যাগ ইফ দে গানড মি ডাউন' ব্যবহার করে৷ একটিতে একটু উদ্ধত পোশাক, অন্যটি বেশ মার্জিত৷ কিন্তু মার্কিন গণমাধ্যম কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে বরাবরই নেতিবাচক ছবিটি ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷


অ্যাটকিন্স লিখেছেন, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে কিন্তু ছবি এবং তথ্য পরিবেশনে ঠিক উল্টোটা করা হয়৷ সেটাও টুইটার মারফত দেখিয়েছেন তিনি৷ মার্কিন গণমাধ্যম বরাবরই এই ছক ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেছেন অ্যাটকিন্স৷


জার্মানিতে বসবাসরত কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ তাহির ডেলাও জানান যে, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে৷ তবে তাঁরা এই বাধাধরা নিয়ম ভাঙার জন্য সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন৷ তিনি জানান, কৃষ্ণাঙ্গ দেখলেই ধরে নেয়া হয় যে, এরা মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত অথবা দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ বা বসবাস করছে৷


তাহির ডেলাও বলেন, এ কারণেই আফ্রিকা থেকে জার্মানিতে মানুষ খুব একটা আসতে চায় না৷ শুধুমাত্র ভালো চাকরি পেলে তবে তারা আসে৷ আর জার্মান গণমাধ্যম এ সব মানুষদের কথা না লিখে বরাবরই নেতিবাচকভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের উপস্থাপিত করে বলেও দাবি করেন তিনি৷


রেডিও সাংবাদিক কনস্টানটিনা ফাসিলিও-এনৎস বলেন, কর্মক্ষেত্রেও কেবল কালো নয়, অন্যান্য অধিবাসীদেরও তাঁদের দেশ উল্লেখ করে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়৷ যেমন আহমেদ কোলোন থেকে এসেছেন তা না বলে বলা হয় তিনি একজন তুর্কি যিনি কোলোনে থাকেন৷ এছাড়া মুসলিম নারীর কথা লিখলেই জার্মান গণমাধ্যম স্কার্ফ বা হিজাব পড়া নারীদের ছবি দেখায়৷


 


কনস্টানটিনার মতে, এর অর্থ এটা জার্মান সমাজের বদ্ধমূল ধারণা যে মুসলিম নারী হলেও তাঁরা হিজাব পরে থাকেন৷ তাই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের গবেষণা এবং প্রতিটি দেশের অধিবাসীদের ব্যাপারে মৌলিক কিছু ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি৷সূত্র: ডয়েচে ভেলে।


(ঢাকাটাইমস/ ১১ অক্টোবর/ জেডএ.)