logo ২২ মে ২০২৫
ডিআরইউ-গ্রামীণফোন রির্পোটিং এ্যাওয়ার্ড পেলেন ২৭ সাংবাদিক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১০ নভেম্বর, ২০১৪ ২০:২৮:১৮
image

ঢাকা:বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ২৭ জন সাংবাদিক ডিআরইউ-গ্রামীণফোন রির্পোটিং এ্যাওয়ার্ড-২০১৪ পেয়েছেন।


আজ সোমবার বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।


এ বছর শ্রেষ্ঠ অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় সাগর-রুনি স্মৃতি পদক। দৈনিক প্রথম আলোর ‘ক্রেস্টের স্বর্ণের ১২ আনাই মিছে’ রিপোর্টের জন্য রোজিনা ইসলাম, যমুনা টেলিভিশনের ‘ডাক্তার আছেন’ রিপোর্টের জন্য অপূর্ব আলাউদ্দিন, দ্য রিপোর্টের ‘প্রতিদিন ৩২০ কেজি সোনা ভারতে পাচার’ রিপোর্টের জন্য কাজী জামশেদ নাজিম এই ক্যাটাগরিতে সেরা রিপোটিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার হিসাবে তাদের প্রত্যেকে পেয়েছেন এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র।


এছাড়া বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও ২৪ জন সাংবাদিক পুরষ্কৃত হয়েছেন।


প্রিন্ট রিপোর্টিংয়ে ১৫টি বিষয়ে বিজয়ীদের মধ্যে এক লাখ টাকা মূল্যমানের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রিপোর্টে (ডিআরইউ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিকুল কবির স্মৃতি পুরস্কার) এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দৈনিক সমকালের মো. আবু সালেহ রনি। প্রতিটি ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের অন্য ১৪টি বিষয়ে এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন—শিক্ষা বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক যায় যায় দিনের মো. মামুন হোসেন, সংসদ, আইন ও বিচার, নির্বাচন কমিশন বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক প্রথম আলোর সেলিম জাহিদ, রাজনীতি বিষয়ক রিপোর্টে ডেইলি ঢাকা ট্রিবিউনের জুলফিকার আলি মানিক, নগরীর সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক বর্তমানের দীপন নন্দী, অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক জনকণ্ঠের শাহ মো. কাওসার রহমান, নারী ও শিশু বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক যুগান্তরের মো. হামিদুর রহমান ভূইয়া (শিপন হাবীব), ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক সমকালের রাজীব নূর, ক্রীড়া বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক কালের কণ্ঠের মো. রাহেনুর ইসলাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক জনকণ্ঠের মো. মামুন-অর-রশিদ (রশিদ মামুন), কৃষি বিষয়ক রিপোর্টে ডেইলি স্টারের পরিমল পালমা, অপরাধ ও আইন-শৃংখলা বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক জনকণ্ঠের সুমি খান, জনশক্তি বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক ইনকিলাবের তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের, তথ্য, যোগাযোগ প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক রিপোর্টে দৈনিক প্রথম আলোর ফখরুল ইসলাম (হারুন) এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্টে ডেইলি ঢাকা ট্রিবিউনের মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল।


টেলিভিশন রিপোর্টিংয়ে ৬টি বিষয়ে বিজয়ীদের মধ্যে তথ্য, যোগাযোগ প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক রিপোর্ট (ডিআরইউ সাবেক সাধারণ সম্পাদক পথিক সাহা স্মৃতি পুরস্কার, এক লাখ টাকা মূল্যমানের) এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জিটিভির রাজু আহমেদ। প্রতিটি ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের অন্য ৫টি বিষয়ে এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন—অর্থনীতি বিষয়ক রিপোর্টে চ্যানেল ২৪-এর মজুমদার বাবু। নগরীর সমস্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক রিপোর্টে যমুনা টেলিভিশনের নাজমুল হোসেন, অপরাধ ও আইন-শৃংখলা বিষয়ক রিপোর্টে চ্যানেল আইয়ের মোরসালিন বাবলা, সুশাসন ও দুর্নীতি বিষয়ক রিপোর্টে একাত্তর টেলিভিশনের পারভেজ নাদির রেজা এবং পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক রিপোর্টে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের শিমুল বাশার।


অনলাইন রিপোর্টিংয়ে প্রতিটি ৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের ২টি বিষয়ে এ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হচ্ছেন—মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্টে বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমের রফিকুল ইসলাম (মন্টু) এবং উন্নয়ন ও সমস্যা বিষয়ক রিপোর্টে দ্য রিপোর্টে আবু হানিফ রানা।


৭৫ হাজার টাকা মূল্যমানের রেডিও রিপোর্টিংয়ে এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এবিসি রেডিও’র শাহনাজ শারমীন।


ডিআরইউ-গ্রামীণফোন রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য ১৩ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়। নিয়মানুযায়ী এই জুরি বোর্ডে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ডিআরইউ সাবেক একজন সভাপতি। এবার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার।


জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক এএইচএম মোয়াজ্জেম হোসেন, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, হলিডে সম্পাদক সৈয়দ কামাল উদ্দিন, বৈশাখী টিভি প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, উইকলি ইকোনমিক টাইমস সম্পাদক শওকত মাহমুদ, প্রেস ইন্সটিটিউট মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ও ফিল্ম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ জ ম শফিউল আলম ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এমএম আকাশ, ক্রীড়াজগত সম্পাদক মাহমুদ হোসেন খান দুলাল ও প্রথম আলো সহযোগী সম্পাদক সোহরাব হাসান।


অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী বলেন, আজকের এই আনন্দের দিনেও আমাদের একটি দুঃখের খবর আছে। তা হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি আমাদের মাঝে নেই। এখনও বাবা-মা’র খুনিদের বিচারের কাঠগড়ায় দেখতে পারেনি এতিম সন্তান মেঘ। এজন্য সে আমাদের মাঝে আসতে পারেনি।


অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, প্রবীণ সাংবাদিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।


(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এইচআর/এআর/ ঘ.)