logo ০৬ মে ২০২৫
ঢাকাটাইমসের আখাউড়া প্রতিনিধি মিশুকে হত্যার চেষ্টা
আখাউড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
২৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৭:৪৮:০৫
image


আখাউড়া: অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মো. মহিউদ্দিন মিশুকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। মাদক পাচার সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এ হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।

মিশুকে হত্যা চেষ্টার পর থেকে আখাউড়ার সাংবাদিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আখাউড়া প্রেস ক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর মাদকের চালান উদ্ধারের ঘটনায় আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করে উপজেলার ফকিরমুড়া সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি। ওই মামলায় দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হান্নানকে আসামি করা হয়।

২৬ ডিসেম্বর ‘আখাউড়া সীমান্তে ফের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা, উপলক্ষ্যে থার্টি ফাস্ট নাইট” শিরোনামে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে মামলার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন মেম্বার হান্নান।

মিশু অভিযোগ করে বলেন, ওই সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকেই হান্নান বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পেশাগত কাজ শেষে আখাউড়া থেকে সাহেবনগরে (গাজীর বাজার) নিজ বাসায় যাওয়ার সময় তিনি দুর্বৃত্তের কবলে পড়েন।

আখাউড়া-আগরতলার সড়কের প্রেসিডেন্ট সড়ক এলাকার কাছে জনৈক আলমের কাঠ বাগানের কাছে পৌঁছতেই দুর্বৃত্তরা টর্চলাইট দিয়ে মোটরসাইকেলটি থামানোর সংকেত দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে দেন।

একটু সামনে যাওয়ার পর আরও কয়েকজন দুর্বৃত্ত রামদা নিয়ে তাকে কোপাতে আসে। আত্মরক্ষার্থে তিনি মোটারসাইকেল দুর্বৃত্তদের উপরে উঠিয়ে দিতে চাইলে তারা সরে যায়। এই সুযোগে মিশু ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ঘটনার পর আখাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোকাদ্দেছ ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটা রশি ও বাঁশ উদ্ধার করেন।

আখাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইসরাত জাহান এ্যামি সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। তিনি জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ইউপি মেম্বার হান্নান বিজিবি’র দায়ের করা মামলার আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে মিশুর অভিযোগের ভিত্তিতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৮জানুয়ারি/এমআর)