logo ০৭ মে ২০২৫
বৈতন বৈষম্য দূর করতে নন-ক্যাডারদের স্মারকলিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০২ মার্চ, ২০১৫ ১৯:৪০:২৫
image

ঢাকা: প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদ্যমান বেতন বৈষম্য দূরীকরণে ছয় দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ। ছয় দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে তারা আন্দোলনে যাবে জানানো হয়েছে।


বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষে থেকে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী , মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সংগঠনের সভাপতি মো. শফিউল আজম ও সাধারণ সম্পাদক মো.  জিন্নাত আলী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি দেয়া হয।


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তা রয়েছে এক লাখ। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরাসরি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। দীর্ঘ ২৮-৩০ বছর চাকরি জীবনে তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতি যোগ্য অত্যন্ত সীমিত থাকায় ৯৫ ভাগ কর্মকর্তার ভাগ্যেই সারাজীবনে একটিমাত্র পদোন্নতি লাভ করাও অনেক সময় সম্ভব হচ্ছে না।


চাকরিবিধি এবং সুষ্ঠু সার্ভিস নীতিমালার অভাবে চাকরি জীবনে তাদের বেতন স্কেলেরও তেমন কোনো পরির্বতন ঘটেছে না। প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য চাকরির ৫,৮,১২ এবং ১৬ বছরের সিলেকশন গ্রেট প্রদান করা হলে এ সমস্যা সমাধান হবে।


দাবি গুলো হচ্ছে, (এক) চার বছর পূর্তিতে প্রচলিত সিলেকশন গ্রেডের বিধান বহালরাখাসহ ৫,৮,১২ এবং ১৬ বছর পরবর্তীতে উচ্চতর বেতন স্কেল প্রদান করা।


(দুই) ২০ বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল প্রদানের বিধান করা। (তিন) সকল নন-ক্যাডারের কর্মকর্তার সিনিয়র স্কেল/ বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করা।


(চার) অধিকাংশ ক্ষেত্রে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন পর সমবেতনে সিলেকশন গ্রেড স্কেলে পদোন্নতি প্রদান করা।


(পাচঁ) ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতো নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য চাকরি অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা।


(ছয়) সকল ২য় শ্রেণির কর্মকর্তার জন্য ৪,৮.১২ ও ১৬ বছর পূর্তিতে টাইমস্কেল/সিরেকশন গ্রেড প্রদান করতে হবে।


প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং জাতীয় পে-কমিশন সার্ভিসের চেয়ারম্যামেন দপ্তরে কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদের স্মারক লিপি পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।


এ বিষয়ে সংগঠনের মহাসচিব জিন্নাত আলী বিশ্বাস টাকাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সচিবালয়ের ননক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য বিধান চালু করা হলেও আমাদের জন্য করা হয়নি। আমরা এ জন্য প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং জাতীয় পে-কমিশন সার্ভিসের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছি। তারা আমাদের দাবি না মনলে আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো উপায় নাই। কবে আন্দোলন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সময় হলে জানা হবে।


(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/এইচআর/জেবি)