দুই বছর বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা হারাবে গ্রাহক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৫ মার্চ, ২০১৫ ১৭:৫১:৪৬

ঢাকা: একনাগাড়ে দুই বছর বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা হারাবেন মোবাইলফোন গ্রাহক। এরপর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ওই নম্বরটি বিক্রি করে দিতে পারবে। এ ছাড়া অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা পরের মাসে কেনা প্যাকেজের সঙ্গে ব্যবহারের সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্প্রতি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির জারি করা ‘ডাইরেকটিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ ২০১৫’ শীর্ষক এই নির্দেশনায় মোবাইল অপারেটরদের বিভিন্ন সেবা, অফার, নম্বর প্ল্যান, ব্যবহার নোটিফিকেশন, ট্যারিফ ও চার্জ, প্রচারমূলক কার্যক্রম (প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটিজ), মার্কেট কমিউনিকেশন ইত্যাদি বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ ছাড়া মোবাইল সংযোগ অকার্যকর (ডি-অ্যাকটিভ), পুনরায় সচল (রি-অ্যাকটিভ), পুনরায় বিক্রির (রি-সেলিং) বিষয়গুলোও উল্লেখ করা হয় ওই নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, একনাগাড়ে কোনো মোবাইল সংযোগ ৯০ দিন বন্ধ থাকলে তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এক বছরের মধ্যে ন্যূনতম রিচার্জের মাধ্যমে সেটা চালু করতে পারবেন গ্রাহক। সিমটি যদি ৩৬৫ দিনের বেশি অব্যবহৃত থাকে তবে এটি সচল করতে গ্রাহককে ১৫০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। গ্রাহক যদি এক বছরের মধ্যে বন্ধ সংযোগ চালু না করেন, তাহলে ৭৩০ দিনের (দুই বছর) মধ্যে অনধিক ১০০ টাকা ফি দিয়ে তা সচল করতে পারবেন। সংযোগ একনাগাড়ে দুই বছর বন্ধ থাকলেও মোবাইল কোম্পানিগুলো সেটা বিক্রি করতে পারবে না। দুই বছর পর্যন্ত ওই নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।
এ সময়ের পর বিটিআরসি বা অন্য কোনো সংস্থার আপত্তি না থাকলে মোবাইল কোম্পানি ওই নম্বর বিক্রি করতে পারবে। বিক্রি করার ক্ষেত্রেও শর্ত জুড়ে দিয়েছে বিটিআরসি। বিক্রি করার আগে এসব নম্বর কোম্পানির নিজস্ব ওয়েবসাইট, কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও বিটিআরসির ওয়েবসাইটে দিতে হবে। যেসব নম্বর আবার বিক্রি হবে, বিক্রির তিন মাস আগে কমপক্ষে তিনটি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানাতে হবে।
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী (জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত), দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহকসংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা চার কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার।
(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/জেবি)