logo ২৭ এপ্রিল ২০২৫
সিটি নির্বাচন: কর্মসূচি নিয়ে ভাবছে বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৩ মার্চ, ২০১৫ ২০:৪৩:০২
image

ঢাকা: তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের বিষয়টি ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করেছে।বিএনপি চেয়ারপারসনের আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন আজ(রবিবার) এক টিভি সাক্ষাৎকারে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।


সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ট আরেকটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, খন্দকার মাহবুব হচ্ছেন চেয়ারপারসনের একজন আস্থাভাজন ব্যক্তি। তাঁর কথায় যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। তিনি ভেবে চিন্তে এবং খোঁজ খবর নিয়েই কথাটা বলেছেন।


তবে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি খোলাসা না করলেও খন্দকার মাহবুবের বক্তব্যের পর আসন্ন সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বিএনপি নেতাদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে হয়ে গেছে। এরই মধ্যে অনেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছেন।


এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে।দলের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি দেখা দিয়েছে।একটি পক্ষ তিন সিটি বাদ দিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।তারা বলছেন, আন্দোলন একবার স্থগিত করলে আবার নতুন করে জমানো কঠিন হবে।সরকার তো এই সুযোগটাই চাইছে। অপর পক্ষটি চাইছে, আন্দোলন কর্মসূচি আর নির্বাচনী মাঠ গরম রাখা একসঙ্গে সম্ভব নয়।দলকে এখন নির্বাচনমুখী হতে হবে।আর এটা করতে হলে দলের সর্বশক্তি নির্বাচনে নিয়োগ করতে হবে।


এদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং চলমান কর্মসূচি নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করতে শুরু করেছে দলের একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য। এ নিয়ে তিনি অনেক দূর এগিয়েছেন বলে জানা গেছে।


গত ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি ২৮ এপ্রিল একযোগে তিন সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এতোদিন ধরে চলা আন্দোলন এখন অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেছে।


তারপরও কর্মসূচি চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় কর্মসূচির কি হবে তা নিয়ে তারা কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছে দল।


দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নির্বাচনের বিষয়ে শীর্ষ নেতাদের মতামত নেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিলে কর্মসূচি থাকবে নাকি প্রত্যাহার করা হবে তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে।


পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করার সুযোগ নেই। সে কারণে মতামত সংগ্রহ হলে দুই একদিনের মধ্যে নির্বাচন ও কর্মসূচির বিষয় দলের অবস্থান স্পষ্ট করা হতে পারে জানা গেছে।


বিএনপির গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান গত কয়েকদিনে নির্বাচনের বিষয়ে মতামত সংগ্রহ করছেন।


যদিও তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে: জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান গুলশান কার্যালয় থেকে মতামত নেয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন।


তিনি বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার এখনো ছয়দিন বাকি আছে। এটা লম্বা সময়। যে কোনো সময় নির্বাচনের ব্যাপারে অবস্থান জানানো হবে।”


কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে বলেন, “অনেকে হয়তো কর্মসূচি থেকে সম্পূর্ণ বের হয়ে যাওয়াটা সমর্থন করছে না। আর নির্বাচন ও আন্দোলন একত্রে করতেও তো সমস্যা নাই। দেখা যাক।”


বিএনপি জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, “কর্মসূচি থেকে একেবারে বের হয়ে গেলে পরে তা জমানো কঠিন হবে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা ভালো না।”


যুবদলের  নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমসকে বলেন, “কর্মসূচি রেখে নির্বাচনে গেলে সরকার আরো কঠোর হতে পারে।তাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ‍যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে সুবিধা পাওয়া যাবে।”


ঢাকাটাইমস/বিএন/২৪মার্চ/এআর/ ঘ.)