কক্সবাজার থেকে ইয়াবা নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন মাহফুজ। ফেনীর লালপোল এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাকে এবং তার গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া দু’জনের মধ্যে একজন পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। এছাড়া ইয়াবার সিন্ডিকেটে পুলিশ, আইনজীবীসহ আরও বেশ কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।



শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী জেলার লালপোল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ দুর্ঘটনা সংঘটনকারী প্রাইভেট কারটিও জব্দ করেছে।



র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারি পরিচালক সোহেল মাহমুদ  বলেন, লালপোল এলাকায় একটি ছোট বাচ্চাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাবার পথে প্রাইভেট কারটি আটক করা হয়েছে।



গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন হল, ঢাকার এসবি’র টেকনিক্যাল সেকশনের এএসআই মাহফুজুর রহমান (৩৫) এবং তার গাড়িচালক জাবেদ আলী(২৯)।



র‌্যাব সদস্যরা তাদের কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ সাত লক্ষ টাকা, চারটি মোবাইল সেট, বিভিন্ন ব্যাংকের আটটি ক্রেডিট কার্ড এবং মাদকের টাকার হিসাবসম্বলিত তিনটি নোট বুক উদ্ধার করেন।



সোহেল মাহমুদ  জানান, ২০১১ সাল থেকে দুই বছর ‍মাহফুজুর কক্সবাজারের টেকনাফে কর্মরত ছিলেন। সেসময় তার সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সখ্য গড়ে উঠে। এরপর থেকে সে পুরোদস্তুর ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে।



তার গাড়ি থেকে আটক ইয়াবার বিষয়ে মাহফুজুর জানায়, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মো. বেলাল এবং চট্টগ্রামের কুমিরা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো.আশিক তাকে ইয়াবাগুলো ঢাকায় পৌঁছে দেয়ার জন্য বলেছিল।



ঢাকায় তার কাছ থেকে ইয়াবাগুলো হাইকোর্টের মুহুরী মো. মোতালেব, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নামে এক আইনজীবী, এসবি’র আরেক কনষ্টেবল শাহীন, কাশেম, গিয়াসদের বুঝে নেয়ার কথা।