logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১১:৪১:০৬
image


নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ প্রাসাদ গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা। সুন্দরবনের কোল ঘেষা সাতক্ষ্মীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই শিক্ষাবিদ। নিজ জেলাতেই ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করেন এই অধ্যাপক। এরপর তিনি মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। এসএসসি ও এইচএসসিতে বোর্ড স্ট্যান্ড করেন। এরপর তিনি অফিসার হিসেবে সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন। কিন্তু শিক্ষার প্রতি অধীর আগ্রহ থাকায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপলাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হন। এর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ। এরপর উচ্চ শিক্ষার জন্য ইউরোপের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ‘হেলসিংকি স্কুল অব ইকোনোমিকস’ ফিনল্যান্ড থেকে বিজনেস ডিসিপ্লিনে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে দশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যান্ড অস্টিনে স্কলারশিপ নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর লন্ডনের ব্রেডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি এনরোলমেন্ট করেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। এই মানুষটির বহুমুখী মেধা ব্যবসা ক্ষেত্রে সাফল্য এনে দেয়। গড়ে তোলেন সুন্দরবন সাইন্টিফিক স্রিম্প কালচার লি:, প্রাসাদ নির্মাণ লি:, প্রাসাদা প্রাডাইজ লি: নামে স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে গড়ে তোলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, নর্দান কলেজ, নর্দান ল্যাবরেটরি স্কুল, নর্দান রিয়াল স্টেট, নিউ ল্যাব ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি স্কুল। এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন এই উদ্যোক্তা।


শিক্ষা নিয়ে এর কোন স্তরেই রাজনীতি করা ঠিক নয় বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর অধ্যাপক ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষা হতে হবে কর্মমুখী। কিন্তু সেটা না হয়ে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির প্রভাব বেশি। এর কারণে উচ্চ শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান নিশ্চিত হচ্ছে না।

সোমবার রাজধানীর বনানীতে দেশের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে তার নিজ কার্যালয়ে “ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের” সঙ্গে একান্ত আলাপে এসব কথা বলেন দেশের এই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। আলাপে ছিলেন মহিউদ্দিন মাহী

উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে কথা উঠেছে।

উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর সরকারের গুরুত্ব আরো বাড়াতে হবে। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে এটি ভালো কথা। তবে নিয়ন্ত্রণের মূল বিষয়টি হতে হবে “শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ”।

গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে করণীয় কী?

দেখুন, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রথম প্রয়োজনীয় বিষয়টি হলো-প্রয়োজনীয়সংখ্যক দক্ষ শিক্ষক যোগান দেয়া। দক্ষ শিক্ষক না থাকলে দক্ষ শিক্ষিত জনশক্তি গড়ে উঠবে কিভাবে। দক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য দেশেই বিভিন্ন মেয়াদী প্রজেক্ট হাতে নিতে পারে সরকার। শত শত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হাজার হাজার শিক্ষক দরকার। এতো শিক্ষক আমরা পাবো কোথায়। আমরা আসলে অগ্রাধিকার ঠিক করতে পারছি না।

আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার কথাও বলছেন অনেকে।

আমাদের মধ্যে আন্তর্জাতিক চেতনাবোধ কম। ইন্টারন্যাশনাল যে সমীকরণ চলছে সেটা আমরা অনুধাবন করতে পারলেও নিজেদেরকে মিলিয়ে নিতে পারছি না। জাতি হিসেবে দাঁড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শক্তি আমাদের নেই। শিক্ষাটা এখন আর ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা কিন্তু বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে। ডিজিটাইজেশনের এ যুগে বিশ্বের বহু দেশেই এখন ক্লাশরুমে বসে ছাত্ররা ক্লাশ করে না। ভার্চুয়াল ক্লাশ ব্যবস্থা ফিজিকাল ক্লাসরুমের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে। ই-লাইব্রেরী ব্যবস্থা ফিজিকাল লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার কথা বললে প্রযুক্তিকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

উচ্চ শিক্ষায় বেরসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কী

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিকাশের সূত্র ধরে উচ্চশিক্ষার্থে শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার হার কমে আসছে। এর ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা জাতীয় উন্নয়নে সর্বক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।

বৈদেশিক মুদ্রা কিভাবে সাশ্রয় হচ্ছে?

দুই দশক আগেও একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসনস্বল্পতার কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী কোটি কোটি টাকা খরচ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশে পাড়ি দিতেন। বর্তমানে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশের তুলনায় কম খরচে অনুরূপ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষর্থীরা বিদেশের পরিবর্তে দেশের মাটিতেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন, ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।

এর কোনো পরিসংখ্যান আছে?

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রায় ৪৯ হাজার ১৮০জন ছাত্র-ছাত্রী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। কেবল ২০১৩ সালেই টিউশন ফি বাবদ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা এবং শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, আবাসন খরচসহ অন্যান্য ব্যয়ের হিসাবে কমপক্ষে ২৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বদৌলতে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরই বিপুল অর্থ ব্যয় করে  বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সামর্থ্য নেই। এ ধরনের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য যোগ্য নাগরিক তৈরিতে অবদান রাখছে। আশার কথা যে, বর্তমানে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ যেমন: নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, ভারত, তুরস্ক ইত্যাদি দেশের ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করেছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্রমেই উজ্জ্বলতর হচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তো বিত্তবানদের প্রতিষ্ঠান

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিত্তবানরা প্রতিষ্ঠা করেছে ঠিকই কিন্তু দেশের ৮০ ভাগ গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করছে। এক পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিবছর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী বিনা খরচে অধ্যয়নের সুযোগ পাচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান শিক্ষার মান নিয়ে কী আপনি সন্তুষ্ট?

দেখুন এ প্রশ্নের জবাব একদিনে শেষ হবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। শিক্ষার মান উন্নয়নে অনেক কিছু করণীয় আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উঁচুতে আছে। আবার অনেকে চেষ্টা করছে। বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যকর ও আকর্ষণীয় করতে নিয়মিত শিক্ষকদের বাইরেও নির্দিষ্ট কোনো কোর্সের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর দক্ষ ও যোগ্য কোনো শিক্ষককে খণ্ডকালীন ফ্যাকাল্টি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সাধারণত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নর্থ আমেরিকান ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় না। এসব শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন।

দরিদ্র মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে শিক্ষা গ্রহণের পথ সুগম করার প্রচেষ্টাও বেশ লক্ষণীয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাশ লেকচার উপস্থাপন পদ্ধতি বেশ আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক ও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। বর্তমানে বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

আমাদের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বলুন

আমাদের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক সমস্যা আছে। তবে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী অনেক ইনোভেটিভ এবং একজন ভাল মানুষ। উনি চেষ্টা করছেন। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। তবে আমাদের শিক্ষাখাতের পলিসি মেকিংয়ে দেশের মেধাবী শিক্ষকদের যুক্ত করা উচিত। কারণ এমন অনেক শিক্ষক আছেন যারা বিদেশে থেকে সাফল্যের সঙ্গে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশ সেবায় ব্রত আছেন। তাদেরকে যুক্ত না করে পলিসি তৈরি করলে তা যুগোপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা কম।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা নিয়ে বলুন

যেসব কারণে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে দুটি কারণ উল্লেখযোগ্য: এক. সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষে উচ্চশিক্ষার বর্ধিত চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না; দুই. দ্রুত বর্ধনশীল চাহিদা পূরণে যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন ছিল, সরকারের পক্ষে তা জোগান দেয়া সম্ভব না হওয়া। এসব দিক বিবেচনা করে উচ্চশিক্ষার চাহিদা পূরণে সরকারের প্রচেষ্টার পরিপূরক ভূমিকা পালন করতে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পথ আইনত উম্মুক্ত করার লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনটি পাস হওয়ার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে বেসরকারি খাতে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিকল্প হিসেবে নয়, বরং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় উৎসাহিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সর্বমোট ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে।

আপনার নর্দান নিয়ে কিছু বলুন।

শিক্ষার উঁচু মান নিয়ন্ত্রণে আমরা শুরু থেকেই সজাগ। আমাদের শিক্ষকদের মান অনেক ভালো। এখানে ক্লাশে উপস্থিতির হার ৯০%। ক্লাশ না করে পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ নেই। থিওরী ক্লাসের চেয়ে ব্যবহারিক ক্লাশের গুরুত্ব আমরা বেশি দিয়ে থাকি। এখানে নিয়মিত স্টুডেন্ট কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের গ্রাজুয়েটগণ বিসিএস ক্যাডার, জুডিশিয়ারি সার্ভিস, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, ব্যাংক, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, সফটওয়ার কোম্পানি ইত্যাদিতে কর্মরত রয়েছেন। আমাদের গ্রাজুয়েটদের মধ্যে বেকারত্বের হার নেই বললেই চলে।

আপনাকে ধন্যবাদ

আপনাকেও ধন্যবাদ।